নিজেদের মুখ রক্ষায় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপের বাহানা: হাছান মাহমুদ

প্রকাশিত: ৩:১৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

পাবলিক ভয়েস : জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে ‘জাতীয় সংলাপ’র আওয়াজ তুলছে সেটা তাদের মুখ রক্ষা এবং রাজনৈতিক আলোচনায় টিকে থাকার নতুন বাহানা বলে মনে করেন ক্ষমতাসীন আ.লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, আমাদের বিজয় যেমন ধস নামানো বিজয়, তেমনি তাদের পরাজয়ও ধস নামানো পরাজয়। মুখ রক্ষার জন্য কর্মীদের বোঝানোর জন্য কিছু একটা করতে হয়। সেজন্য নতুন বাহানা হচ্ছে জাতীয় সংলাপ। নিজেদের মুখ রক্ষার জন্য এবং রাজনৈতিক আলোচনায় টিকে থাকার জন্য এই জাতীয় সংলাপের কথা বলছে তারা।

আজ শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আ.লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন। আগামীকাল শনিবার (১৯ জানুয়ারি) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আ.লীগের মহাসমাবেশের প্রস্তুতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে মহানগর আ.লীগের কার্যালয়ে এই বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়।

হাছান মাহমুদ বলেন, ঐক্যফ্রন্টের এই ‘জাতীয় সংলাপ’র সিদ্ধান্তের মধ্যেই বিএনপি নেই। শুরুতেই অনৈক্য। আসলে রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্যই তাদের এই ব্যর্থ চেষ্টা।

নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে টিআইবির দাবির জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর তারা (বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট) আইসিইউতে চলে গেছে। কিছু সংগঠন তাদের অক্সিজেন দিয়ে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে, যেমন টিআইবি। আসলে নির্বাচনে টিআইবি কোনো পর্যবেক্ষক ছিলো না। তারা এখন মনগড়া তথ্য দিচ্ছে। তাদের টিকিয়ে রাখার জন্য টিআইবির এটা ব্যর্থ চেষ্টা।

আ.লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, নির্বাচনে আমাদের বিশাল বিজয়, পরপর তিনবারের এই বিজয় উৎসব করার মতো বিজয়। কিন্তু নেত্রীর (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) নির্দেশে আমরা কোনো উৎসব করিনি। আগামীকাল শনিবারের মহাসমাবেশে উৎসব হবে, কিন্তু কোনো বিশৃঙ্খলা যেনো না হয়।

এই বিজয়ে আমাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। আমাদের আচার-আচরণ যেনো কারও বিরক্তির কারণ না হয়। তাহলে মানুষ আবারও আমাদের ভোট দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আ.লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর দক্ষিণ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। সভায় মহানগর দক্ষিণ শাখার অন্তর্গত থানা ও ওয়ার্ডের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন