
বিজ্ঞানীরা নতুন একটি বাস্তুতন্ত্রের যাত্রা উপলব্ধি করতে পারছেন এন্টার্কটিকা মহাদেশে। এই অঞ্চলটি এতদিন বরফে আচ্ছাদিত থাকলেও গত কয়েকমাসে সেখানে বরফের ওপর মাইক্রোস্কোপিক অ্যালজাই দেখা যাচ্ছে (অনুবীক্ষণে দেখা যায় এ রকম শ্যাওলা)। এতে করে সাদা বরফ ধীরে ধীরে সবুজ হতে শুরু করেছে।
এ কারণে সেখানে প্রাণের সঞ্চার আরো অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে দাবি করছেন যুক্তরাজ্যের একদল বিজ্ঞানী।
বুধবার জার্নাল নেচার কমিউনিকেশনে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়। ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ ও দ্য ব্রিটিশ এন্টার্কটিক সার্ভে ছয় বছর ধরে ওই অঞ্চলের বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে এই গবেষণাটি তৈরি করেছে।
গবেষণায় থাকা বিজ্ঞানীদের মতে, এসব সবুজাভ শ্যাওলা ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণেই এমন পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।
তারা বলছেন, ওই অঞ্চলের কিছু কিছু স্থানে এক কোষি প্রাণী অর্থাৎ শ্যাওলার খুব ঘন আস্তরণ লক্ষ্য করা গেছে। এর কারণে সেখানকার সাদা বরফ সবুজে পরিণত হতে শুরু করেছে। এই সবুজ মহাকাশ থেকেও দেখা যায়।

ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির গবেষক ও বিজ্ঞানী ম্যাট ডেভি বলেন, এইসব শ্যাওলা ইতোমধ্যে বিভিন্ন ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে মিলে একটি বাস্তুতন্ত্রের সৃষ্টি করেছে।
গবেষকরা এন্টার্কটিকায় এক হাজার ৬৭৯ ধরনের শ্যাওলা পেয়েছেন। যা প্রায় এক দশমিক ৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। বছরে ৪৭৯ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষন করে থাকে এসব শ্যাওলা।
এমএম/

