
৮ মার্চে প্রথম শনাক্তের পর দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ এপ্রিলে এসে পাঁচ হাজারের কোটা ছুঁয়েছে। ছড়িয়ে পড়ছে ৬০ জেলায়। পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এর সিংহভাগই মাত্র ৫ জেলাতে। মোট আক্রান্তের ৭৬ শতাংশ দখল করে থাকা এই জেলাগুলো হল-ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী। মোট ৫ হাজার রোগীর মধ্যে এই পাঁচ জেলাতেই ৩ হাজার ৪৭৬ জন। বাকি সারা দেশ মিলে সংখ্যাটা দেড় হাজার।
শুধু ঢাকার পরিসংখ্যান আরও ভয়াবহ বার্তা দেয়। দেশের মোট আক্রান্তের প্রায় ৫৩ শতাংশই এই শহরের, সংখ্যার হিসেবে ২২৯৯ জন। এরপর যথাক্রমে নারায়ণগঞ্জে ৫৯৪ জন, গাজীপুরে ২৬১, কিশোরগঞ্জে ১৮১, নরসিংদীতে ১৪১ জন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এই ৫ জেলায় করোনা প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলেই ছড়িয়ে পড়াটা অনেকখানি কমিয়ে ফেলা যাবে। উদাহরণ হিসেবে রাজধানীর মিরপুরের টোলারবাগ এবং মাদারীপুরের শিবচরের উদাহরণ টেনে তারা বলছেন, সংক্রমণের শুরুর দিকে এই দুটি জায়গা ছিল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু কঠোর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে স্থান দুটিতে সংক্রমণের গতি প্রায় শূন্যে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। দেশে লকডাউন করা প্রথম উপজেলা ছিল শিবচর।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, শিবচর এবং টোলারবাগ লকডাউন করার সুফল পেয়েছে দেশ। সর্বোচ্চ আক্রান্ত এই ৫ জেলার ব্যাপারে সেদিকে হাঁটতে পারে প্রশাসন। যদি লকডাউনে কাজ না হয়, প্রয়োজনের কারফিউ জারি করার কথা চিন্তা করা যেতে পারে। করোনা ঠেকিয়ে রাখতে এর কোনো বিকল্প আমাদের জানা নেই।
এমএম/পাবলিকভয়েস

