নান্দাইলে বিপ্লব ও সংহতি দিবসে মনোনয়ন বঞ্চিত চার প্রার্থী এক মঞ্চে। 

প্রকাশিত: ৬:৫৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৮, ২০২৫

আকরাম হোসেন নান্দাইল উপজেলা প্রতিনিধিঃ 

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ঘোষিত “বিপ্লব ও সংহতি দিবস”-এর কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নান্দাইলে বিরল এক রাজনৈতিক দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নান্দাইল (ময়মনসিংহ-৯) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী পাঁচ নেতার মধ্যে মনোনয়ন পাওয়া একমাত্র প্রার্থী ব্যতীত বাকি চারজন একই মঞ্চে উঠে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন। নান্দাইল আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন—১. মেজর জেনারেল (অব.) আনোয়ারুল মোমেন,২. বিগ্রেডিয়ার ডাঃ একেএম শামসুল ইসলাম সূর্য,৩. নাসের খান চৌধুরী,৪. ইয়াসের খান চৌধুরী এবং

৫. মামুন বিন আব্দুল মান্নান।দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে শেষ পর্যন্ত ইয়াসের খান চৌধুরীকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে বাকি চারজন মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে “বিপ্লব ও সংহতি দিবস” উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে একত্রিত হন। তাঁরা যৌথভাবে ঘোষিত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে হাজারো নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে নান্দাইল পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।বক্তারা অভিযোগ করেন, স্থানীয় নেতৃত্ব, ত্যাগী নেতাকর্মী ও জনগণের মতামত উপেক্ষা করে মনোনয়ন বাণিজ্যের’ মাধ্যমে অজনপ্রিয় প্রার্থীকে নির্বাচনী মাঠে নামানো হয়েছে। তাঁরা বলেন, “নান্দাইল বিএনপির মূল শক্তি হলো তৃণমূল, আর সেই তৃণমূলের কণ্ঠরোধ করা হলে আন্দোলন কঠিন আকার ধারণ করবে।”সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) আনোয়ারুল মোমেন, বিগ্রেডিয়ার ডাঃ একেএম শামসুল ইসলাম সূর্য, মামুন বিন আব্দুল মান্নানসহ নাসের খান চৌধুরী দেশের বাহিরে অবস্থান করায় তার অনুসারী নেতাকর্মী সহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী।অন্যদিকে, মনোনীত প্রার্থী ইয়াসের খান চৌধুরী অনুসারী নেতাকর্মী বৃন্দ নান্দাইল চৌরাস্তায় বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি’র আঞ্চলিক কার্যালয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত পৃথক এক সমাবেশে জানান যে, “দল আমাদের নেতাকে মনোনয়ন দিয়েছে, আমরা দলের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করি। এবং আমরা সকলকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে বিএনপির বিজয়ের জন্য কাজ করতে চাই।”রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নান্দাইল বিএনপিতে এই অভ্যন্তরীণ বিভক্তি সামনের নির্বাচনী মাঠে প্রভাব ফেলতে পারে।

মন্তব্য করুন


আরও পড়ুন  

তাহিরপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত   সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়দল উত্তর ইউনিয়নের বাংলা বাজারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উত্তর বড়দল ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনে পীর সাহেব চরমোনাই মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের এমপি পদপ্রার্থী হাফিজ মাওলানা মুফতি ফখর উদ্দিন।  সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উত্তর বড়দল ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মাওলানা এমদাদুল্লাহ সা’দ এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসরুর আহমেদ আল-আমিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তাহিরপুর উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি নুরউদ্দিন, সহ-সভাপতি মাওলানা সালমান আহমদ সুজন, তাহিরপুর উপজেলা ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি জুনাইদ আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক কে এম মামুনুর রশিদ ও ছাত্র নেতা মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।  বক্তারা বলেন, ৫ই আগস্টের পরও দেশে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দুর্নীতি চলছে। আমরা এই অন্যায়ের পরিবর্তন চাই। বর্তমান রাজনীতি মানেই যেন চাঁদাবাজি আর দুর্নীতির প্রতিযোগিতা—এর অবসান ঘটাতেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কাজ করছে। তারা আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।  প্রধান অতিথি হাফিজ মাওলানা মুফতি ফখর উদ্দিন বলেন, আগে গ্রামে-গঞ্জে ডাকাত ছিল, এখন কলম দিয়ে ডাকাতি হয়। স্বাধীনতার পর থেকে আমরা এ দৃশ্য দেখে আসছি। যারা দিনে এক কথা আর রাতে আরেক কথা বলে, তাদের জনগণ চেনে।  তিনি মিয়ারচর ফেরিঘাটের ভোগান্তির প্রসঙ্গ তুলে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান—জরুরিভিত্তিতে এই ঘাটে দুটি নৌকা সংযোজন করা প্রয়োজন।  তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকারের বাজেটের টাকা যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো হতো, তাহলে আজকের বাংলাদেশে দারিদ্র্য থাকত না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সরকার গঠন করতে পারলে শতভাগ বাজেট জনকল্যাণে ব্যয় হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও হাওর অঞ্চলের মানুষের পক্ষে কাজ করাই হবে আমাদের অঙ্গীকার।