
আকরাম হোসেন নান্দাইল উপজেলা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ঘোষিত “বিপ্লব ও সংহতি দিবস”-এর কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নান্দাইলে বিরল এক রাজনৈতিক দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নান্দাইল (ময়মনসিংহ-৯) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী পাঁচ নেতার মধ্যে মনোনয়ন পাওয়া একমাত্র প্রার্থী ব্যতীত বাকি চারজন একই মঞ্চে উঠে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন। নান্দাইল আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন—১. মেজর জেনারেল (অব.) আনোয়ারুল মোমেন,২. বিগ্রেডিয়ার ডাঃ একেএম শামসুল ইসলাম সূর্য,৩. নাসের খান চৌধুরী,৪. ইয়াসের খান চৌধুরী এবং
৫. মামুন বিন আব্দুল মান্নান।দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে শেষ পর্যন্ত ইয়াসের খান চৌধুরীকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে বাকি চারজন মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে “বিপ্লব ও সংহতি দিবস” উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে একত্রিত হন। তাঁরা যৌথভাবে ঘোষিত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে হাজারো নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে নান্দাইল পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।বক্তারা অভিযোগ করেন, স্থানীয় নেতৃত্ব, ত্যাগী নেতাকর্মী ও জনগণের মতামত উপেক্ষা করে মনোনয়ন বাণিজ্যের’ মাধ্যমে অজনপ্রিয় প্রার্থীকে নির্বাচনী মাঠে নামানো হয়েছে। তাঁরা বলেন, “নান্দাইল বিএনপির মূল শক্তি হলো তৃণমূল, আর সেই তৃণমূলের কণ্ঠরোধ করা হলে আন্দোলন কঠিন আকার ধারণ করবে।”সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) আনোয়ারুল মোমেন, বিগ্রেডিয়ার ডাঃ একেএম শামসুল ইসলাম সূর্য, মামুন বিন আব্দুল মান্নানসহ নাসের খান চৌধুরী দেশের বাহিরে অবস্থান করায় তার অনুসারী নেতাকর্মী সহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী।অন্যদিকে, মনোনীত প্রার্থী ইয়াসের খান চৌধুরী অনুসারী নেতাকর্মী বৃন্দ নান্দাইল চৌরাস্তায় বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি’র আঞ্চলিক কার্যালয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত পৃথক এক সমাবেশে জানান যে, “দল আমাদের নেতাকে মনোনয়ন দিয়েছে, আমরা দলের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করি। এবং আমরা সকলকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে বিএনপির বিজয়ের জন্য কাজ করতে চাই।”রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নান্দাইল বিএনপিতে এই অভ্যন্তরীণ বিভক্তি সামনের নির্বাচনী মাঠে প্রভাব ফেলতে পারে।

