

তৌকির আহমেদ (ঢাবি প্রতিনিধি) ডাকসু নির্বাচনের তোড়জোড় ঘিরে ক্যাম্পাসে সরব হয়েছে ছাত্রলীগ। বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক সমাবেশে ছাত্রলীগ নেতারা অবিলম্বে ডাকসুর তফসিল ঘোষণার দাবি জানান। সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন বলেন ছাত্ররা ২৮ বছর ডাকসুর জন্য অপেক্ষা করেছেন, আর ২৮ দিনও তারা অপেক্ষা করবে না। অবিলম্বেই ডাকসুর তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
‘স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ এর জন্য বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়ে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। মানববন্ধনের সভাপতি ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিৎ চন্দ্র দাস এবং সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন।
মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাণিজ্যিক কোর্স অনতিবিলম্বে বন্ধ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানান। সাদ্দাম বলেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয় টাকা গড়ার কোনো কারখানা নয়, এই বিশ্ববিদ্যালয় স্বল্পকালীন শিক্ষাদানের কোনো ট্রেনিং সেন্টার নয়।
” সাদ্দাম হোসাইন বিজয় একাত্তর হলে অতিরিক্ত ফী এবং টেলিভিশন, ফিল্ম এবং ফটোগ্রাফি বিভাগে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার সমালোচনা করেন। সাদ্দাম হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি সংকট নিয়ে বলেন, “৩৬ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য লাইব্রেরি প্রয়োজন, ওই লাইব্রেরিতে ব্যবস্থা রয়েছে মাত্র ২ হাজার জনের।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিকে সর্বাধুনিক লাইব্রেরিতে রুপান্তরের দাবি জানান। সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিৎ চন্দ্র দাস তার বক্তৃতায় বলেন, ” আমরা চাই এই বিশ্ববিদ্যালয় হোক একটি গণতান্ত্রিক বিশ্ববিদ্যালয়।” বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয় একটি হান্ড্রেড পারসেন্ট আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
” মানবনন্ধনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আমাদের মমতাময়ী নেত্রী প্রায় ৭০০ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছেন, সেই বাজেটের ৮০ ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতনভাতার জন্য ব্যয় করা হয়। সমাবেশের সর্বশেষ বক্তা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট দূর করার জোর দাবি জানান। তিনি ক্যান্টিনের খাবারের সমালোচনা করে বলেন, “ক্যান্টিনের খাবারের কোনো স্বাদ নাই, লবণ নাই!” তিনি আরো বলেন “আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে অনেক দিন দেখা গেছে যে আমি ভাত খাই নাই, আমি নুডলস খেয়ে থাকি, ক্যান্টিনের অন্যান্য জিনিস খেয়ে থাকি।”
তিনি বলেন ডাকসু নির্বাচন হলে আবাসন সংকট এবং খাবারের মান উন্নয়ন হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সাহসী মনোভাব প্রকাশ করতে গিয়ে শোভন বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রয়োজনে অস্ত্র ধরতে জানে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রয়োজনে কলম ধরতে জানে!” সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নেতৃবৃন্দ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।