
আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের ১০ লাখ স্কুলগামী শিশু নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার সংক্রান্ত সনদ পাবে বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি ) বিকেলে আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটরিয়ামে ‘ভালো ইন্টারনেটের জন্য একত্র হই’ শীর্ষক আইসিটি বিভাগ ও ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস ২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এক বছর সময়ের মধ্যে আমরা ১০ লাখ স্কুলগামী শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের সনদ প্রদানের মাধ্যমে ইতিহাস তৈরি করবো। এবং লুকায়িত অনলাইন ঝুঁকির বিরুদ্ধে আমাদের শিশুদের অতি প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রগতি সাধন করব।
শিশুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারলেই তা আমাদের জন্য আশীর্বাদ। আর তা যদি না পারা যায়, তবে তা অভিশাপ হয়ে ওঠে। তাই ইন্টারনেটে কোনো কিছুতে লগইন করার আগে নিশ্চিত হয়ে তা করতে হবে, এবং কোন কিছু ইন্টারনেটে শেয়ার দেওয়ার আগেও চিন্তা করে শেয়ার দিতে হবে।
বর্তমানে ইন্টারনেটকে ষষ্ঠ মৌলিক চাহিদা হিসেবে মনে করা হয়- উল্লেখ করে তিনি বলেন, একদিনও আমরা ইন্টারনেট ছাড়া চিন্তা করতে পারি না। পাঁচটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে যদি আরেকটিকে স্বীকৃতি দেয়া হয় তবে তা ইন্টারনেটই হবে।
ইন্টারনেট সংক্রান্ত ঝুঁকি কমাতে ইউনিসেফের সহায়তায় সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগ এই কার্যক্রম শুরু করবে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি তোমো হোজুমি বলেন, সাইবার প্রযুক্তির ঝুঁকি ও সম্ভাবনাগুলো বিবেচনা করার এবং ঝুঁকিগুলো কমিয়ে আনতে আমাদের সম্মিলিত প্রজ্ঞা ও শক্তি ব্যবহারের সময় এসেছে। ইন্টারনেট বিশাল জ্ঞান ও তথ্যের উৎস হিসেবে কাজ করে, যা আজকের এই বিশ্বে শিশুদের জন্য প্রয়োজন।
ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে আমাদের কাছে প্রতিদিন প্রায় দশটি অভিযোগ আসে ফেসবুক সংক্রান্ত। তাই সাইবার বুলিংসহ বিভিন্ন ঘটনা এড়াতে সকলের সাইবার এথিক্স মেনে, ইন্টারনেটকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চায় ব্যবহার করা উচিত।
যেকোনো ইন্টারনেট সম্পর্কিত ভোগান্তি এড়াতে ‘হ্যালো সিটি’ নামে তাদের একটি অ্যাপস আছে বলেও জানান ডিএমপির এই কর্মকর্তা।
আই.এ/

