নাগরিকত্ব আইন বিরোধীদের গুলি চালানো হতে পারে: আশঙ্কা ওয়েইসির

প্রকাশিত: ৭:০৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২০

৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা ভোট শেষ হতেই, শাহিনবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর নির্যাতনের আশঙ্কা করছেন ভারতের মুসলিম সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে গত ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে দিল্লির শাহিনবাগে আন্দোলন চলছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্র-বিরোধী এই আন্দোলনের পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-ও শাহিনবাগের আন্দোলনে দেশবিরোধী মদত রয়েছে বলে তোপ দেগেছেন। বিজেপির একের পর ছোট-বড় নেতা-মন্ত্রী শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক প্ররোচনামূলক মন্তব্য করেছেন। তারই জেরে এবার আন্দোলনকারীদের উপর নির্যাতনের আশঙ্কা মিম প্রধান ওয়েইসির।

‘দিল্লি নির্বাচনের পরই শাহিনবাগকে জালিয়ানওয়ালাবাগে পরিণত করতে পারে বিজেপি’, এমনই আশঙ্কা আসাদউদ্দিন ওয়েইসির। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী ওই আন্দোলন গুলি করে তুলে দেওয়ার চেষ্টার আশঙ্কা ওয়েইসির। দিল্লিতে বিধানসভা ভোট মিটলেই সেই চেষ্টার আশঙ্কা হায়দরাবাদের ওই সাংসদের।

ফোনে সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আসাদউদ্দিন বলেন, ‘শাহিনবাগে গুলি চালানো হতে পারে। শাহিনবাগকে জলিয়ানওয়ালাবাগে পরিণত করতে পারে।’ দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারে বেরিয়ে আপ সরকারকে তুলোধনা করার পাশাপাশি শাহিনবাগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনকারীদেরও কড়া আক্রমণ শানাচ্ছেন বিজেপি নেতারা।

প্রচারে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর তো আন্দোলনকারীদের গুলি করে মারার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে অনুরাগ বলেছিলেন, ‘কেজরিওয়াল স্বয়ং শাহিনবাগের ধরনাকে সমর্থন করেছেন। ১১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের ফল বেরোতেই শাহিনবাগ সাফ হয়ে যাবে। দেশের গদ্দারদের গুলি মারো।’

নির্বাচন কমিশন অনুরাগ ঠাকুররের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। ৩ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় অনুরাগের বিরুদ্ধে। শুধু অনুরাগই নন। দিল্লি ভোটের প্রচারে বিজেপি নেতাদের আক্রমণের সিংহভাগ জুড়ে থাকছেন শাহিনবাগের আন্দোলনকারীরা।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে একটানা আন্দোলন চলছে শাহিনবাগে। প্রতিদিন নতুন-নতুন মানুষ যোগ দিচ্ছেন সেই আন্দোলনে। ১ ফেব্রুয়ারি শাহিনবাগে সিএএ বিরোধী ধরনার কাছেই গুলির শব্দ শোনা যায়।

পরে সেই ঘটনায় কপিল গুজ্জর নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। কপিল আপ সদস্য বলে দাবি করে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশেই ক্রাইম ব্রাঞ্চ এই তত্ত্ব সামনে এনেছে বলে অভিযোগ করেছেন আপ-প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

আই.এ/

মন্তব্য করুন