অবৈধভাবে ভারতে রয়েছে কয়েক হাজার বাংলাদেশি: দাবি অমিতের

প্রকাশিত: ৬:৪০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২০

ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হয়েছে মাস দুয়েক আগে। পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ কংবা ক্রিশ্চান ধর্মের মানুষকে ভারতে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি লোকসভায় অধিবেশন শুরু হতেই ফের এই আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধী দলগুলো সহ ভারতের সাধারণ মানুষ।

এবার ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় লিখিতভাবে দাবি করেছেন,  ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বহু বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে রয়েছে গিয়েছেন। অর্থাৎ আইনিপথে ভারতে প্রবেশ করেও বর্তমানে তাঁদের অবস্থান বেআইনি। ২০১৭-তে প্রবেশ করে রয়ে গিয়েছে এমন বাংলাদেশির সংখ্যা ২৫,৯৪২, ২০১৮-তে ঢুকে রয়েছে গিয়েছেন ৪৯,৬৪৫ জন ও ২০১৯-এ প্রবেশ করে অবৈধভাবে এখনও রয়েছেন এমন বাংলাদেশির সংখ্যা ৩৫,০৫৫।

এছাড়া, এনপিআরের বিষয়ে জানানো হয়েছে যে আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে ‘পপুলেশন রেজিস্টার’ আপডেট করা হবে।

মঙ্গলবারই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এনপিআর নিয়ে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন। জানিয়েছেন, এনপিআরের জন্য কোনও কাগজের প্রয়োজন হবে না। এনপিআরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন সরকারি আধিকারিকরা। তবে কোনও তথ্যের জন্য কোনও কাগজ দেখাতে হবে না।

বিরোধীদের দাবি, এনপিআরের আড়ালে এনআরসি কার্যকর করতে চাইছে মোদী সরকার। যদিও মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে গোটা দেশে এনআরসি করার কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই। ২০১০ সালে প্রথম এনপিআর হয়েছিল। তার পরে হয় ২০১৫ সালে।

লোকসভায় লিখিতভাবে আরও দাবি করা হয়েছে, দেশ জুড়ে এনআরসি চালু করার কোনও পরিকল্পনা এখনই নেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, জাতীয় স্তরে এনআরসি চালু করার ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

আই.এ/

মন্তব্য করুন