পদত্যাগের কথা শুনে সিইসি বললেন আলহামদুলিল্লাহ (ভিডিও)

প্রকাশিত: ১:৪৯ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২০
ছবি: পাবলিক ভয়েস

নির্বাচনে কারচুপি, অনিয়ম, ক্ষমতাসীনদের নৈরাজ্য-কেন্দ্র দখলের অভিযোগে ব্যার্থতার দায় নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কেএম নূরুল হুদাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিছেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। জবাবে সিইসি কেবল আলহামদুলিল্লাহ বলে কথা শেষ করেন।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ৭টার দিকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সিইসির সাথে সাক্ষাতে সিইসি কেএম নূরুল হুদাকে পদত্যাগের আহ্বান জানায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

শনিবার সন্ধায় দলটির দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রার্থী শেখ ফজলে বারী মাসউদ (উত্তর সিটি) ও আলহাজ্ব আব্দুর রহমান (দক্ষিণ সিটি) অভিযোগ জানাতে ইসি কার্যালয়ে যান। এসময় দলটির বিশেষ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

গাজী আতাউর রহমানের দীর্ঘ বক্তব্যে ইসির নিন্দা ও সিইসির ব্যার্থতার কথা থাকলেও চুপচাপ থাকেন সিইসি নূরুল হুদা। সবশেষে তিনি আলহামদুলিল্লাহ বলে আইএবি নেতৃবৃন্দকে বিদায় জানান।

সিইসি কেএম নূরুল হুদাকে ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, অতীতের ধারাবাহিকতায় দুই সিটি নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ এবারের দুই সিটি নির্বাচনে যেভাবে অনিয়ম হয়েছে তাতে আমরা আপনাকে আর নির্বাচনে কমিশনে থাকা সমীচিন মনে করি না।

সিইসিকে তিনি সরাসরি পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা চাই আপনি ইজ্জতের সাথে পদত্যাগ করুন। আপনার মান ইজ্জত নিয়ে ব্যার্থতার দায় নিয়ে পদ ছেড়ে দিন। আমরা আপনার এ পদে থাকা সমীচিন মনে করি না।

এসময় সিইসি কেএম নূরুল হুদা বলেন, আপনাদের বক্তব্য শুনেছি আলহামদুলিল্লাহ, এখন আপনাদের লিখিত অভিযোগ থাকলে দিন। এসময় নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

পরে ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ লিখিত বক্তব্য জমা দিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এসময় ইসলামী আন্দোলন মনোনীত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মেয়রপ্রার্থী শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও দক্ষিণের প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতী দেলোয়ার হোসাইন সাকী, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কেএম আতিকুর রহমান, ছাত্র নেতা শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

/এসএস

মন্তব্য করুন