
ইসমাঈল আযহার
সহ-সম্পাদক
দিল্লির জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে সিএএবিরোধী মিছিলে গুলি করে সন্ত্রাসী ‘রামভক্ত গোপাল’ (১৯)।
কট্টরপন্থি হিন্দুর ছোড়া গুলিতে শাদাব ফারুখ নামের জামিয়ার এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তার হাতে গুলি লাগে। তিনি আদতে জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। হামলার পর প্রথমে হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
পরে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (এমস)-এর ট্রমা সেন্টারে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির ডিসিপি চিন্ময় বিসওয়াল বলেন, ‘শাদাবের বাঁ হাতে গুলি লেগেছে। চিকিৎসকের জানিয়েছেন, উনি বিপন্মুক্ত।
বৃহস্পতিবার মহাত্মা গাঁধীর ৭২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সিএএ বিরোধী নিয়ে মিছিল নিয়ে রাজঘাটের দিকে এগোচ্ছিল জামিয়া মিল্লিায়ার শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষের একটি দল। তার জন্য আগে থেকেই ওই এলাকায় বিশাল পুলিশ মোতায়েন ছিল।
মিছিল আটকাতে হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সামনে বসানো হয়েছিল ব্যারিকেডও। তার জেরে এগোতে না পেরে ব্যারিকেডের সামনেই রাস্তায় বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। সেই সময় তাদের ওপর চড়াও হন গোপাল নামের ওই সন্ত্রাসী হিন্দু যুবক।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে গুলি চালান। আর তাকে বাধা দেওয়া তো দূর, বরং চোখের সামনে সব কিছু দেখেও কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে দিল্লি পুলিশ।
সঙ্গে সঙ্গে তার ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে টুইটার ফেসবুকে। ভারতজুড় ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা। বাংলাদেশের স্যোশাল মিডিয়ায় অনেকেই এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পিস্তল উঁচিয়ে আন্দোলনকারীদের শাসান তিনি। বলেন, ‘কিসকো আজাদি চাহিয়ে? ম্যায় দুঙ্গা আজাদি। ইয়ে লো আজাদি।’তার পরেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি ছোড়েন।
গুলি করার সময আটক না করলে পরে আটকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
Police watch as a guy waves a gun outside Jamia University. Man says "Yeh lo azaadi." This week a minister chanted – desh ke gaddaron ko, goli Maro saalon ko. pic.twitter.com/19mfHvFcQR
— Niha Masih (@NihaMasih) January 30, 2020
আই.এ/

