ভারতের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গালফ নিউজকে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৫:০৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২০

ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের প্রয়োজন ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ভারত সরকারের উদ্দেশ্য কী তা বোঝা যাচ্ছে না। ভারত সরকার কেন এটা করলো বুঝতে পারছি না। এটার প্রয়োজন ছিলো না।

সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরকালে দেশটির রাজধানী আবুধাবিতে গালফ নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেছেন, নাগরিকত্ব আইন সংশোধন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও এর কোনো প্রয়োজন ছিল না। তারপরও এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশ সব সময়ই সিএএ এবং এনআরসিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মনে করে আসছে।

‘ভারত সরকারও সব সময় তাদের পক্ষ থেকে বলে আসছে, এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ব্যক্তিগতভাবে গত বছরের অক্টোবর মাসে নয়াদিল্লি সফরকালে আমাকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন, বলেন শেখ হাসিনা।’

শেখ হাসিনার মতে, যেকোনো বৃহত্তর ক্ষেত্র বিবেচনায় বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সর্বোচ্চ সুসম্পর্ক বজায় রয়েছে।

প্রসঙ্গ, গত বছরের ১১ ডিসেম্বর ভারতের পার্লামেন্টে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) পাস হয়। বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে নিপীড়নের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পারসি ও খ্রিষ্টানদের নাগরিকত্ব নিশ্চিতে এই আইন সংশোধন করে ভারত।

বিতর্কিত এই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশজুড়ে সরব হয়েছে একাধিক রাজনৈতিক দল। আইনটি বাতিলের দাবিতে ভারতজুড়ে এখনও বিক্ষোভ চলমান। এতে বেকায়কায় রয়েছে নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার।

সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সঙ্কটসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। রোহিঙ্গা বিষয়ে তিনি বলেন, এই সমস্যার শুরুটা যেহেতু মিয়ানমারে, সেহেতু তাদেরই সমাধান করতে হবে।

মিয়ানমারে নিপীড়নের স্বীকার হয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে। তাদের ফেরতের উদ্যোগ নেয়া হলেও নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা থেকে তারা ফিরতে চাইছে না।

প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটের অবসান না হলে তা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ঠেলে দেবে।

/এসএস

মন্তব্য করুন