ইসমাঈল আযহার
সহ-সম্পাদক
আগামীকাল শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বাদ ফজর বয়ানের মাধ্যমে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হবে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এ ইজতেমা চলবে বোরবার ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। ইজতেমায় অংশ নিতে দেশ বিদেশ থেকে ময়দানে উপস্থিত হয়েছেন ধর্মপ্রাণ লাখো মানুষ। আজও বাস মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানে চড়ে অংশ নিচ্ছেন অনেকেই।
ময়দান ঘুরে গেছে, তিন দিন অবস্থানের জন্য নিজেদের জায়গাগুলো প্রস্তুত করে নিয়েছেন অনেকেই। দেশ বিদেশ আগত লাখো মুসল্লির পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে তুরাগ নদের তীর। অজু ইস্তিঞ্জাখানাগুলোয় ভীড় লক্ষ করা গেছে।
মুসল্লিরা কেউ নামাজ আদায় করছেন। কেউ তাসবিহ আদায়ে মশগুল। আবার কোথাও গোল হয়ে বসে তারা আল্লাহর স্বরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মানুষকে ভাল কাজের জন্য উদ্বুদ্ধ করছেন নিজেরা ভাল কাজ করছেন।
১৬০ একর জমির ওপর নির্মিত সুবিশাল প্যান্ডেলের কাজ, খুঁটিতে নম্বর প্লেট, খিত্তা নম্বর, জুড়নেওয়ালি জামাতের কামরা, মুকাব্বির মঞ্চ, বয়ান মঞ্চ, তাশকিল কামরা, পাহারা ও এস্তেকবালের জামাত তৈরি, হালকা নম্বর বসানোসহ সবকিছু প্রস্তুত।
এদিকে, বিশ্ব ইজতেমা ২০২০ সামনে রেখে গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশে এসেছেন তাবলীগের জামাতের ভারতের অন্যতম দুই মুরুব্বী মাওলানা আহমদ লাট সাহেব এবং ইবরাহিম দেওলা।এখন আলেমদ্বয় টঙ্গী ময়দানে অবস্থান করছেন।
চার দিন বিরতি দিয়ে সা’দ কান্ধলভীর অনুসারীরা ইজতেমা পালন করবেন ১৭, ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ১৯ জানুয়ারি (রবিবার) সমাপ্তি ঘটবে ২০২০ সালের ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা।
বাংলাদেশে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ১৯৬৩ সাল থেকে। জানুয়ারির ১০ তারিখে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইজতেমা হবে ৫৭তম। ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইজতেমা তিন দিন ধরে অনুষ্ঠিত হতো। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মুসল্লিরা এই ইজতেমায় অংশ নেন বলে এটি বিশ্ব ইজতেমা হিসেবে পরিচিতি পায়।
পরে মুসল্লিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১০ সাল থেকে দুই দফায় তিন দিন করে ইজতেমার আয়োজন করা হতো। তাবলিগের আমির মাওলানা সা’দ কান্ধলভী ও মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীর বিরোধের কারণে গত বছর থেকে দুই পক্ষ তিন দিন করে আলাদাভাবে ইজতেমার আয়োজন করতে শুরু করে।
আই.এ/
