পৃথিবীর সব চেহারা ভুলতে পারি, ধর্ষকেরটা নয়: ঢাবির সেই ছাত্রী

প্রকাশিত: ৭:০৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০২০

ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বলেছেন, ‘পৃথিবীর সব মানুষের চেহারা ভুলতে পারি, কিন্তু ধর্ষকের চেহারা কখনো ভুলব না।’ বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ওই ছাত্রীর বরাতে এসব কথা বলেন সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম।

সারোয়ার বিন কাশেম জানান, ধর্ষককে গ্রেফতারের পর নিশ্চিত হওয়ার জন্য তার ছবি ওই ছাত্রীকে কিছুক্ষণ পর পর কয়েকবার দেখানো হয়। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ছবির লোকই ধর্ষক কিনা। ছবি দেখে প্রতিবারই ওই ছাত্রী বলেছেন, ‘এই লোকই ধর্ষক’।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে ধর্ষক মজনুকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ১২ বছর আগে ট্রেন থেকে পড়ে মজনুর দুটি দাঁত ভেঙে যায়। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায়। তার বাবা মৃত মাহফুজুর রহমান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনাটি ছিল সম্পূর্ণ ক্লুলেস। কোনো সিসিটিভি ফুটেজ না থাকা সত্ত্বেও দু’দিনের মাথায় ধর্ষক মজনুকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। র‌্যাব জানায়, গ্রেফতার মজনু একজন মাদকাসক্ত ও সিরিয়াল রেপিস্ট। তিনি ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময় প্রতিবন্ধী-ভিক্ষুক নারীদের ধর্ষণ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন। তিনি নিজেকে দিনমজুর হিসেবে দাবি করলেও ছিনতাই ছিল তার নিয়মিত পেশা।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষণিকা বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্টপেজে নামার পর তাকে অজ্ঞাত একজন অনুসরণ করে। একপর্যায়ে তাকে ফুটপাতের ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে ওই শিক্ষার্থী রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি পরে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।

আই.এ/

মন্তব্য করুন