ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০২০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার রাতে র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সরওয়ার-বিন-কাশেম বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত আজ বুধবার সকালে র‌্যাবের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হবে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ধর্ষক বা এ ঘটনার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা আছে কি না এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব আটক করে সদর দফতরে নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে র‌্যাব নিশ্চিত হয়-ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে ওই যুবকের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় সকালে গাজীপুর থেকে একজনকে গ্রেফতার করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীর দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী ধর্ষকের চেহারার একটি স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া গেছে।’

এর আগে ছাত্রী ধর্ষণের মামলাটি তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কর্মকর্তারা জানান, ধর্ষকের শরীরিক গঠন সম্পর্কে জানার পর বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তারা। পাশাপাশি সন্দেহভাজন পথচারীদের শনাক্ত করতে আশপাশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী শেওড়ায় বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে গত রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডের কাছে ধর্ষণের শিকার হন। একপর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। রাত ১০টার দিকে যখন তার জ্ঞান ফেরে, তখন সেখান থেকে তিনি বান্ধবীর বাসায় গিয়ে ঘটনা খুলে বলেন। পরে রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। পরদিন ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তার বাবা।

ওই মামলায় বলা হয়েছে, ধর্ষক যুবকের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। উচ্চতা প্রায় ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, গায়ের রং শ্যামলা। স্বাস্থ্য মাঝারি। ঘটনার সময় তাঁর চুল ছোট ছোট ছিল। স্যান্ডেল পরা এই যুবকের পরনে পুরাতন জিন্সের প্যান্ট ছিল। গায়ে ময়লা কালো রঙের ফুলহাতা জ্যাকেট ছিল। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি গতকাল পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উত্তর বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানান, মেয়েটির দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী ধর্ষকের শারীরিক আকৃতি, চেহারা কেমন ছিল সেটি জানার চেষ্টা করছেন তারা। সে অনুযায়ী সন্দেভাজন বেশ কয়েকজনের ছবি এঁকে তাকে দেখানো হয়েছে। তবে এসব ছবির সঙ্গে ধর্ষকের মিল খুঁজে পাননি শিক্ষার্থী।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুতই প্রকৃত অপরাধীকে শনাক্ত করা যাবে। বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা মাঠে নেমেছেন। অপরাধীকে গ্রেপ্তার করাই এখন প্রধান লক্ষ্য।

আই.এ/

মন্তব্য করুন