
যুক্তরাষ্ট্রের ওপর সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিহতে বিমান হামলা চালিয়ে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়। যদিও এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আগে থেকে অবগত ছিল না মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিনিদের ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরব।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে সৌদির এক কূটনীতিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, বাগদাদে বিমান হামলার পরিকল্পনা নিয়ে রিয়াদের সঙ্গে আলোচনা করেনি ওয়াশিংটন। এমনকি সৌদি সরকার বিষয়টির সঙ্গে কখনোই জড়িত নয়।
এ দিকে ইরানি জেনারেলকে হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে অঞ্চলটির মুসলিম পরাশক্তি রাষ্ট্রটি। সৌদির প্রভাবশালী পত্রিকা ‘আরব নিউজ’ ঘটনার পরপরই নিজেদের প্রথম পাতায় সোলাইমানির ছবি সম্বলিত একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে। যার শিরোনাম ছিল ‘আর কাউকে হত্যা করতে পারবে না সে (সোলাইমানি)।’
অপর দিকে নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর উভয় পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে টুইট করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে সৌদি আরব ক্রমশ বাড়তে থাকা উত্তেজনা কমিয়ে আনার বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের আঞ্চলিক শক্তি বৃদ্ধির প্রধান কারিগর হিসেবে পরিচিত এই কাসেম সোলাইমানি। বিগত বছরগুলোতে তিনি ইরানের পররাষ্ট্র নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রেও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। গত ১৫ বছর যাবত তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কৌশলী হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের উপস্থিতি সুসংহত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার ভোরে বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্রের সেই অভিযানে ইরান সমর্থিত পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য প্রাণ হারান।
আই.এ/

