
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গ্রিস সফরে আছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হওয়ায় সফর শেষ না করেই দেশে ফিরছেন তিনি। সুলেইমানি নিহত হওয়ার পর তোড়জোড় শুরু করেছে দেশটি।নিরাপত্তা ইস্যুতে এই বৈঠকে থাকবেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেত, সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আভিভ কোচাভি ও অন্য নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
জেরুজালেমভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্ট জানায়, কাসেম সুলেইমানি নিহত হওয়ার পরই শুক্রবার সকালে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা ইস্যুতে এই বৈঠকে থাকবেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেত, সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আভিভ কোচাভি ও অন্য নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, ইরানি সামরিক কর্মকর্তা কাসেম সোলেইমানি নিহত হওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় সফর সংক্ষিপ্ত করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দেশে ফিরছেন বলে জানিয়েছে তার অফিস।
গ্রিস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে গ্যাস চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য এথেন্সে ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। এই চুক্তির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ইউরোপে গ্যাস পাঠানো হবে। কিন্তু চাপা উত্তেজনার মধ্যে সফর শেষ না করেই দেশে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন নেতানিয়াহু।
এছাড়া এরই মধ্যে বিশ্বের সব ইসরায়েলি দূতাবাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইসরায়েল আশঙ্কা করছে, প্রতিশোধ নিতে যে কোনো সময় তাদের ওপর হামলা চালাবে ইরান। শুক্রবার ভোররাতে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল কাসেম সুলেইমানি। তিনি ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এলিট শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান ছিলেন।
আই.এ/

