
নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) উত্তাল পুরো ভারত। দেশটির বিভিন্ন জায়গায় আইনটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে দেশটির সাধারণ জনগণ। সিএএ আইনের প্রতিবাদে কিছু সংস্থার প্রতিবাদ উপলক্ষে কড়া পুলিশ প্রহরা রাখা হয়েছে দিল্লির বহু এলাকায়।
এদিকে আইনটির প্রতিবাদ করতে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানী দিল্লির জামে মসজিদের বাহিরে একত্রিত হতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। আর যে কোন অস্বাভাবিক পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য নিরাপত্তা জোরদার করেছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হলেও তা ভঙ্গ করে সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছে আন্দোলনকারীরা।
এর আগে গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর একই স্থানে পুলিশের নিরাপত্তার মধ্যেই অনেক জনগণ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। যার ফলে আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে দিল্লি পুলিশ।
এদিকে নামাজের আগে জামে মসজিদের বাহিরে অবস্থান করছে কংগ্রেস নেত্রী অলকা লাম্বা ও দিল্লির সাবেক সংসদ সদস্য শোয়েব ইকবাল। কংগ্রেস নেত্রী অলকা লাম্বা বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ‘বেকারত্ব হল দেশের প্রধান ইস্যু। কিন্তু আপনারা মানুষকে এনআরসির লাইনে দাঁড় করাতে চাইছেন, ঠিক যেমন নোটবন্দির সময়ে করেছিলেন।’
দিল্লির উত্তর প্রদেশ ভবন, সেলামপুর ও জাফরাবাদে বড় সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ ভবনের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড। জামিয়া মিল্লা ইসলামিয়ার শিক্ষার্থীদের ডাকা সমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তর প্রদেশে ভবনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে দেশ জুড়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছে মোদি সরকার। সিএএ ও এনআরসি নিয়ে নতুন নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। আর সহিংসতা রুখতে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ও লাঠিচার্জ করছে পুলিশ। এপর্যন্ত বিক্ষোভে নিহত হয়েছে ২৩ জন বিক্ষোভকারী। আর এর মধ্যে উত্তর প্রদেশেই নিহত হয়েছে ১৩ জন। এদিকে আইনটি নিয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে মোদি সরকার। আর বিক্ষোভে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ক্ষতি করার কারণে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ দিয়েছে উত্তর প্রদেশের রাজ্য সরকার।
আই.এ/

