
মোটরবাইকের আগুন থিতিয়ে এসেছে খানিকটা। তবে দাউ দাউ করে জ্বলছে দু’টি গাড়ি। উল্টো দিক থেকে তখনও ইটের টুকরো এসে পড়ছে রাস্তায়। সেফটি জ্যাকেট ও হেলমেট পড়ে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে ফাটানো হচ্ছে কাঁদানে গ্যাসের সেল। তার মধ্যেই বন্দুকের ‘সেফটি ল্যাচ’ খুলে সামনের দিকে ছুটে গেলেন এক অফিসার। পিছন থাকা পুলিশদের মধ্যে থেকে তখন উড়ে আসছে, ‘‘মেরে ফেল সবক’টাকে।’’ সে কথা কানে যেতেই ট্রিগারে চাপ দিলেন তিনি। আনন্দবাজার।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল উত্তরপ্রদেশ থেকে এ বার পুলিশের এমনই ভিডিয়ো সামনে এল। শনিবার কানপুরে সেটি তোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ভিডিয়োটি। তাতে বিক্ষোভ থামাতে যোগী সরকারের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে গত তিন ধরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ গোটা উত্তরপ্রদেশে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন সেখানে, যার মধ্যে রয়েছে ৮ বছরের শিশুও। পুলিশের গুলিতেই ওই ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
WATCH: A video that nails the claims of UP Police that it never fired a single bullet! The video is of yesterday from Kanpur. pic.twitter.com/O4RazguIM2
— Prashant Kumar (@scribe_prashant) December 22, 2019
যদিও তা অস্বীকার করেছে যোগীর রাজ্যের পুলিশ। বিক্ষোভকারীরাই বন্দুক হাতে মিছিলে নেমেছিল বলে অভিযোগ তাদের। রাজ্যের ডিজি ও পি সিংহ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘সবক’টি মৃত্যুই গুলি-বিনিময়ের মধ্যে পড়ে হয়েছে। ময়নাতদন্ত হলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের গুলিতে কেউ মারা গেলে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করিয়ে ব্যবস্থা নিতাম।’’ সারা রাজ্যে বিক্ষোভের এলাকা থেকে ৪০৫টি কার্তুজের খোল মিলেছে বলে দাবি করেন আইজি (আইন-শৃঙ্খলা) প্রবীণ কুমার।
ইসমাঈল আযহার/পাবলিক ভয়েস

