
ভোলা প্রতিনিধি: আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয় ১৯৭১ সালের এইদিনে। এই দিনে জন্ম হয় স্বাধীন বাংলার অন্যতম অগ্রসেনানী বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালেরও।
তাই এদিন ভোলায় ছেলে বীরশ্রেষ্ঠ মো. মোস্তফা কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটলেন মা মালেকা বেগম। সোমবার দুপুর দুই টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার আলী নগরে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের গ্রামের বাড়িতে কেক কেটে তার জন্মদিন পালন করা হয়।
এর আগে সকাল থেকে ওই এলাকায় বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল মহাবিদ্যালয়ে তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের ভাতিজা মো. সেলিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পশ্চিম রুহিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাইদুল হাসান সেলিম, কলেজের ইংরেজী প্রভাষক মো. মাকসুদুর রহমান তুহিন, সমাজ বিজ্ঞান প্রভাষক মোহা. মোস্তাফিজুর রহমান, সমাজকর্ম প্রভাষক মো. আল আমিন প্রমূখ।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালের এই দিনে দ্বীপ জেলা ভোলার দৌলতখান উপজেলার হাজীপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন স্বাধীনতা যুদ্ধের মৃত্যুঞ্জয়ী সৈনিক বীরশ্রেষ্ঠ মো. মোস্তফা কামাল। তার বাবা হাবিবুর রহমান ছিলেন হাবিলদার। মা মালেকা বেগম বীরমাতা। হাবিলদার হাবিবুর রহমানের দুই ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে মোস্তফা কামাল ছিলেন সবার বড়। মোস্তফা কামালের স্ত্রী পিয়ারা বেগম ২০০৬ সালে ও একমাত্র ছেলে মোশারেফ হোসেন বাচ্চু ১৯৯৫ সালে মারা যান। পুত্রবধূ পারভিন আক্তার মুক্তি বেঁচে থাকলেও নাতনি অনামিকা ২০০৪ সালে আগুনে পুড়ে মারা যান।
১৯৮২ সালে মেঘনা নদীর ভাঙনে দৌলতখানের বাড়িটি বিলীন হয়ে গেলে ভোলা সদরের মৌটুপী গ্রামে চলে আসেন তার পরিবারের সদস্যরা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশন সেখানে ৯২ শতাংশ জমিতে ‘শহীদ স্মরণিকা’ নামে একতলা একটি পাকা ভবন নির্মাণ করে বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারটিকে পুনর্বাসন করে।
/এসএস

