
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুরের একটি বাড়ি থেকে দুই পুরুষ ও এক নারীসহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে এ মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর আহম্মেদ গণমাধ্যমকে জানান সকালে সলিয়াবাকপুরের হাওলাদার বাড়ি এলাকার আব্দুর রবের বাড়ি থেকে তাদের মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- ভবন মালিক আব্দুর রবের মা মরিয়ম বেগম (৭০), মেজ বোন মমতাজ বেগমের স্বামী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শফিকুল আলম (৬০) ও খালাতো ভাই মো. ইউসুফ (২২)।
‘শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে খাবার খেয়ে ঘরে থাকা আমরা ৭ জন ঘুমাতে যাই। এরপর শনিবার ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে ওঠে দাদিকে ডাকতে যাই। তখন দেখি দাদির রুমের বারান্দার দরজা খোলা এবং তিনি বারান্দায় পড়ে রয়েছেন। ‘ডাকাডাকি পরে কোনো সাড়া না পেয়ে আমি চিৎকার করলে পরিবারের অন্য সদস্যরা এসে দাদির মৃত্যর বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে ঘরের অন্য একটি কক্ষ থেকে ফুপার (শফিকুল আলম) ও ঘরের পাশের পুকুরের ঘাটলা থেকে চাচার (ইউসুফ) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’ বলেন, নিহত মরিয়ম বেগমের নাতনি আছিয়া।
বাড়ির মালিক আব্দুর রবের স্ত্রী মিশরাত জানান, জমি-জমাসহ নানান বিষয় নিয়ে আশপাশের অনেকের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে। যে বিরোধের সূত্র ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। বাড়ির ছাদের দরজা ছাড়া আর কিছু্ই খোলা পাওয়া যায়নি। ওই দিক দিয়েই দুর্বৃত্তরা বাড়িতে প্রবেশ করতে পারে। তবে ঘরের কোনো মালামাল খোয়া যায়নি।
বরিশালের পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেকটি মরদেহের নাকের কাছে রক্ত দেখা গেছে। এছাড়া শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আবার দুর্বৃত্তরা তেমন কিছু লুট করে নেওয়ার খবরও পাওয়া যায়নি। তাই পুরো বিষয়টি বিভিন্ন দিক থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা পোষণ করে তিনি বলেন, মরদেহগুলো উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আই.এ/

