
ইসমাঈল আযহার: নরওয়েতে ইসলাম বিদ্বেষীদের পবিত্র কুরআনের একটি কপি পোড়ানো ঠেকিয়ে মুসলিম হিরো হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছেন ইলিয়াস নামের এক ব্যক্তি। কোরআন রক্ষা করার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপরই প্রশংসায় ভাসতে থাকেন ইলিয়াস।
পাকিস্তানের বিশিষ্ট আলেম আল্লামা তাকী উসমানিও ইলিয়াস নামের যুবককে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তিনি এক টুইট বার্তায় লেখেন, বিশ্বব্যাপী মুসলিম শাসকদের এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়া উচিত এবং ইলিয়াস নামের এই যুবকের নিরাপত্তা বিধান কর্তব্য। তিনি বলেন, কুরআন জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো কত নির্মম এক ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল। অথচ এই খবর প্রচার হতে কত সময় লাগল! মিডিয়াতে এই খবর কোনো গুরুত্ব বহন করল না!
‘মুসলমানদেরকে দয়া এবং নম্রতার পাঠ দিতে চাওয়া ইউরোপে কুরআনে কারীমের সাথে এমন কাপুরুষোচিত এবং হঠকারিতার চরম সীমায় পৌঁছে গেছে। তারা কুরআন অবমাননার জন্য নিয়মতান্ত্রিকভাবে একটা অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছিল। সাধুবাদ সেই যুবককে যে এই অবমাননার উচিত জবাব দিয়েছে।
এদিকে কুরআনে কারীম জ্বলিয়ে দিতে চাওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জেনারেল আসিফ গফুর ইলিয়াসকে অনেক সাধুবাদ জানিয়েছেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাকে সালাম জানিয়েছেন। এ ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ইলিয়াসকে ‘হিরো অব দ্য মুসলিম’ উপাধিতে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।
ক্রিস্টয়ানস্যান্ড শহরে লার্স থর্সেন নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে স্টপ ইসলামিজেশন অব নরওয়ে (এসআইএএন) এর ব্যানারে একটি র্যালি বের হয়। এই র্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা স্থানীয় পুলিশের সতর্কতার তোয়াক্কা না করে মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থ কুরআনের কপিটি পোড়ানোর চেষ্টা করে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট হওয়া ওই ভিডিওতে ইলিয়াসকে পবিত্র কুরআনের কপিটি পোড়ানো ঠেকাতে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যায়। একপর্যায়ে এসআইএএনের নেতা থর্সেন এবং তার হামলাকারীদের পুলিশের হেফাজতে নেয়া হলে র্যালিটি সহিংস হয়ে যায়।
আই.এ/

