

ক্যাসিনো কাণ্ডে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী সহ বেশ কিছু নেতার নাম জড়িয়ে পড়ার পর বহিস্কৃত হলে নেতৃত্ব শূন্য হয়ে পড়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। এরপর ৭ম জাতীয় কংগ্রেসের মাধ্যমে আজ প্রথম নতুন নেতৃত্ব পেলো যুবলীগ।
যুবলীগের জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে নতুন সভাপতি হিসেবে শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক পদে মাঈনুল হোসেন খান নিখিল এর নাম ঘোষণা করা হয়।
শনিবার বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শেখ ফজলে শামস পরশ যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণির বড় ছেলে। চাচা শেখ ফজলুল করিম সেলিম আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। ছোট ভাই শেখ ফজলে নূর তাপস আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ এর সদস্য সচিব। অন্যদিকে বিদায়ী সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী ছিলেন পরশের ফুফা।
ধানমণ্ডি সরকারি বালক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ঢাকা কলেজের থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়া পরশ যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নেন। এরপর দেশে ফিরে শিক্ষকতা করে আসছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ডে তিনি সক্রিয় ছিলেন না কখনোই। ফুফু শেখ হাসিনার নির্দেশে অবশেষে যুবলীগের হাল ধরার মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে নাম লেখালেন।
এদিকে নতুন সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। সেই হিসেবে তিনি পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেকে চিনিয়েছেন বেশ ভালো করেই। নিজের রাজনৈতিক কর্মদক্ষতার গুনেই যুবলীগের নগর সভাপতি থেকে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে মঞ্চে আসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পরে বেলা পৌনে ১২টায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের মূল পর্ব শুরু হয়।
যুবলীগের এ জাতীয় কংগ্রেসে ৩ হাজারের বেশি কাউন্সিলর এবং ৩০ হাজার ডেলিগেট আমন্ত্রিত ছিলেন। তবে ক্যাসিনোকাণ্ডে যুবলীগের সদ্য বাদ পড়া চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীসহ বিতর্কিত কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
/এসএস