
ইরানের সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা এবং ধ্বংসযজ্ঞ থামানোর সময় এসেছে উল্লেখ করে দেশটির ব্যাপক সমালোচনা করেছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ।
সালমান বিন আবদুল বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়ে রিয়াদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করতে ব্যর্থ হয়েছে ইরান। অনেকটা হুমকির সুরে ‘দেশকে রক্ষায় যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে রিয়াদ দ্বিধা করবে না। বুধবার (২০ নভেম্বর) দেশটির শুরা কাউন্সিলের এক বৈঠকে তেহরানকে আক্রমণ করে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই তেহরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং আঞ্চলিক হস্তক্ষেপ থামাতে হবে। তিনি বলেন, ইরানের সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা এবং ধ্বংসযজ্ঞ থামানোর সময় এসেছে।
শুরা কাউন্সিল ও রাজপরিবারের সদস্য এবং বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্দেশে বাদশাহ সালমান বলেন, ‘সৌদি আরব যেভাবে ২৮৬টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ২৮৯টি ড্রোন হামলার লক্ষ্য হয়েছে, বিশ্বের কোনো দেশই তার মুখোমুখি হয়নি। এসব হামলা সৌদি আরবের উন্নয়ন প্রক্রিয়া অথবা নাগরিক ও বাসিন্দাদের জীবন-যাপনে কোনো ধরনের প্রভাব ফেলতে পারেনি।
‘আমরা আশা করছি, ইরানের শাসকগোষ্ঠী বিচক্ষণতার পথ বেছে নেবেন এবং তারা উপলব্ধি করতে পারবেন যে সম্প্রসারণবাদী এবং ধ্বংসাত্মক চিন্তাভাবনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অবস্থান কাটিয়ে ওঠার কোনও উপায় নেই। বরং শাসকগোষ্ঠীর এই নীতির কারণে দেশটির নাগরিকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।’
তিনি বলেন, বিশ্বের শীর্ষ তেল রফতানিকারক দেশ হিসেবে আমাদের নীতি হলো বিশ্ব তেল বাজারকে স্থিতিশীল রেখে এগিয়ে নেয়া। গত সেপ্টেম্বরে তেলক্ষেত্রে হামলার ঘটনার পর রাষ্ট্রীয় তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আরামকো অল্প সময়ের মধ্যে তেল উৎপাদন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করায় প্রতিষ্ঠানটির প্রশংসা করেন তিনি।
সৌদির এই তেলক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরের ওই হামলার পর বিশ্ব বাজারে তেলের সরবরাহ প্রায় ৫ শতাংশ কমে যায়। বাদশাহ সালমান বলেন, বিশ্বে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতিতে তেলের ঘাটতি তৈরি হলে সৌদি আরব তাৎক্ষণিকভাবে তা পূরণ করতে সক্ষম। আর এটি প্রমাণ করেছে আরামকো। সূত্র : রয়টার্স, আল-জাজিরা।
আই.এ/

