

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান শরনার্থীদেরকে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে মানবতার ইতিহাস তৈরি করেছেন এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বাংলাদেশের মতো জনবহুল ঘনবসতিপূর্ণ দেশে মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদেরকে যেভাবে আশ্রয় দিয়েছেন তাতে তাদের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় তুরস্কের গ্রান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলির স্পিকার মুস্তফা সেন্তোপের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে একথা বলেন তিনি।
সাক্ষাতে মন্ত্রী বলেন, তুরস্ক একটি অন্যতম অসাম্প্রদায়িক দেশ। যে দুটি কারণে তুরস্ক সারা বিশ্বে অত্যধিক সমাদৃত হয় তার একটা হলো অসাম্প্রদায়ীকতা আর দ্বিতীয়টি হলো জঙ্গিবাদ। বাংলাদেশের সাথে তুরস্কের এই নীতিতে অত্যন্ত সামাঞ্জস্য রয়েছে কেননা বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে।
বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান দেশটিকে আঞ্চলিক যোগাযোগ, বিদেশি বিনিয়োগ এবং গ্লোবাল আউট সোর্সিংয়ের একটি কেন্দ্রে পরিণত করেছে। দেশে একশটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী চলমান অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশ গত ১০ বছরে ৭ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জনে সমর্থ্য হয়েছে এবং এ বছর ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। যা ২০২৪ সাল নাগাদ দাড়াবে ১০ শতাংশ এবং সেটা অব্যাহত থাকবে।
তুরস্ককে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার জন্য আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তুরস্ক বর্তমানে অর্থনৈতিকভাবে অনেক শক্তিশালী। তাই তুরস্ক যদি বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার জন্য জায়গা নিতে চায় তাহলে সরকার তাদেরকে সহায়তা করবে।
তুরস্কের স্পিকার মুস্তফা সেন্তোপ বলেন, বাংলাদেশের সাথে তুরস্কের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুরত্ব অনেক হলেও দুই দেশের মধ্যে ধর্ম, সংস্কৃতিসহ রয়েছে অনেক ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য। রোহিঙ্গাদেরকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উদারতার এক মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আরাকানের এই মুসলিমদের উপর যে অবিচার করা হয়েছে সেটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। তুরস্ক এই সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।
ইসমাঈল আযহার/পাবলিক ভয়েস