
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী সোহরাব মিঞাকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিস্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে ছাত্রলীগ থেকে এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে নিশ্চিত করেছেন ওই ঘটনার তদন্ত কমিটির সদস্য বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশু।
ছাত্রলীগের ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক সহ-সভাপতি বলেন, ‘এমন একটি ন্যাক্কারজন ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। আর এটা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি প্যানেলের ছেলে বলে তিনি এটা নিয়ে এত তালবাহনা করছেন এবং মারধরকারীদের বহল তবিয়ত করছেন। আমার মনে হয় এটা না করে ছাত্রলীগের ইমেজ কে ধরে রাখতে সংগঠন থেকে অপরাধীর শাস্তি দেয়া উচিৎ।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন বলেন, ‘ঘটনার প্রায় দুদিনের মাথায় ছাত্রলীগ থেকে আমরা কোন পদক্ষেপ দেখতে পায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এই দুই কর্মী কতবড় নেতা হয়ে গেছেন। যে তাদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আর আমরা যতদূর জেনেছি তদন্ত কমিটি এ বিষয়ের সম্পূর্ণ সত্যতা পেয়েছে তারপরও কেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আমি সবিনয়ে ছাত্রলীগের কাছে জানতে চায়।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার সাথে কথা বলতে চাইলে একাধিকবার তার মুঠোফানে চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন ও বার্তা পাঠিয়েও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের তৃতীয় ব্লকের ২৫৪ নম্বর কক্ষে সোহরাবকে নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী রাকিবুল ইসলাম ওরফে আসিফ লাক ও হুমায়ুন কবির নাহিদ মারধর করে। এক পর্যায়ে দুইজন মিলে রড দিয়ে সোহরাবকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে ও হাত ভেংগে দেয়। বর্তমানে ভুক্তভোগী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আই.এ/

