
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সামরিক অভিযান চালায় তুরস্ক। এ অভিযানে বন্দি হওয়া ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর যোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাবে তুরস্ক। শনিবার তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সয়লো এই তথ্য জানিয়ে অভিযোগ করেছেন, ইউরোপীয় দেশগুলো এই বিষয়ে নিশ্চুপ রয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
৯ অক্টোবর সিরিয়ার তুর্কি সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে কুর্দি বিদ্রোহীদের উৎখাতে অভিযান শুরু করে তুরস্ক। তার আগ মুহূর্তে ওই অঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়। বেশ কয়েক দিনের অভিযানের পর ওই অঞ্চল থেকে কুর্দি বিদ্রোহীদের সরিয়ে দিতে ওয়াশিংটন ও মস্কোর সঙ্গে আঙ্কারা পৃথক দুটি চুক্তি করে।
আট বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের শুরু থেকেই ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি দামেস্ক। অক্টোবরের শুরুতে সিরীয় কুর্দি বাহিনীর কাছ থেকে সীমান্তবর্তী গ্রাম রাস আল আইনের দখল নেয় তুর্কি সেনারা। পরে তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এসএনএ) অভিযান চালিয়ে কুর্দিদের সরিয়ে দিয়ে গ্রামটির দক্ষিণাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
ইতোমধ্যেই সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় দরবাসিয়া শহরের কাছে সীমান্তবর্তী এলাকায় আকাশ ও স্থলপথে যৌথ টহল শুরু করেছে তুরস্ক ও রাশিয়া। তুরস্কের অভিযান শুরু হওয়ার পরই কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটি ফোর্সেস (এসডিএফ) তাদের হাতে বন্দি থাকা আইএস যোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আটক রাখার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল।
অভিযান শুরু হওয়ার কয়েকদিনের মাথায় পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে জানা গেছে, কয়েক শ আইএস যোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা পালিয়েছে। ধারণা করা হয়, এসডিএফের হাতে প্রায় ১২ হাজার আইএস বন্দি ছিল। এদের বেশিরভাগই বিদেশি যোদ্ধা।
যাদের মধ্যে পশ্চিমা ও ইউরোপীয় দেশের নাগরিক রয়েছে। এসব দেশ তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার বলেছেন, এটি আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, এটি দায়িত্বহীনতাও। আইএস বন্দিদের আমরা তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাব।
আই.এ/

