
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে প্রস্তাবিত নিরাপদ অঞ্চল আরও সম্প্রসারণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। বুধবার (৩০ অক্টোবর) পার্লামেন্টারি গ্রুপের এক সভায় তিনি বলেন, কুর্দিদের হামলা মোকাবিলায় প্রয়োজনে ওই অঞ্চলের পরিধি আরও বৃদ্ধি করা হবে। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এরদোগান বলেন, ‘নিরাপদ অঞ্চলের (সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল) বাইরে থেকে আসা যেকোনও হামলার কড়া জবাব দেবো আমরা। প্রয়োজনে আমরা নিরাপদ অঞ্চল আরও সম্প্রসারিত করবো।’
২০১৯ সালের ৯ অক্টোবর তুর্কি সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা থেকে সিরিয়ার কুর্দি বিদ্রোহীদের উৎখাতে অভিযান শুরু করে তুরস্ক। আঙ্কারা বলছে, তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া ২০ লাখেরও বেশি শরণার্থীকে পুনর্বাসনের জন্য সেখানে তারা একটি সেফ জোন গড়ে তুলতে চায়।
ওই অভিযানের আগ মুহূর্তে ওই অঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়। পরে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় গত ১৭ অক্টোবর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় আঙ্কারা। যুদ্ধবিরতিকালে তুর্কি বাহিনী সিরিয়াতেই অবস্থান করছিল। পরে সিরীয় কুর্দিদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার এক চুক্তিতে সম্মত হয়েছে তুরস্ক ও রাশিয়া। ওই চুক্তি স্বাক্ষরের পর তুর্কি সীমান্তে টহল শুরু করে রুশ সেনারা।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, “সিরিয়ায় অভিযানের পর দেশের বাইরে থেকে বিশেষত ইউরোপ থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে অন্তত ৭০০ হামলা চালিয়েছে কুর্দি নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র গোষ্ঠী ওয়াইপিজি। তিনি ইউরোপের দেশগুলোকে বলেন, ‘আপনারা ভুল করছেন। আজ যে সাপকে খাওয়াচ্ছেন, আগামীতে সেই সাপই আপনাদের কামড়াবে।’ এই ‘স্বাধীনতার নতুন যুদ্ধে’ আঙ্কারা ধীরে ধীরে বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এরদোগান দাবি করেন, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের ৯০০ সন্ত্রাসীকে নিষ্ক্রিয় করে ৪ হাজার ২০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকার ৫৫৮টি বসতি সরিয়ে দিয়েছে তুরস্ক।
আই.এ/

