কাশ্মীর দুই টুকরো করে এই প্রথম সেখানে গেলেন মোদি

প্রকাশিত: ১২:৩৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০১৯

ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে অঞ্চলটিকে দুই টুকরো করে ফেলার পর এই প্রথম সেখানে গেলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার তিনি কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় মোতায়েনকৃত ভারতীয় সেনাদের নিয়ে দীপাবলি উদযাপন করেন। সোমবার (২৮ অক্টোবর) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এখবর দিয়েছে।

খবরে বলা হয়, এ সময় সেখানে দেওয়া ভাষণে মোদি ভারতীয় বাহিনীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন মোদি। সেনাবাহিনী পাকিস্তানের ‘কাশ্মীর দখলের চক্রান্ত বানচাল’ করে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীর সম্পর্কে মোদি বলেন, এ বিষয়টি এখনও তাকে দংশন করছে।

তার ভাষায়, ‘আমাদের দেশ ভাগ করা হয়েছিল। লাখ লাখ মানুষ মারা পড়েছে। বহু মানুষ শরণার্থী হয়েছে। তারপরও আমরা তাদের (পাকিস্তান) বিরুদ্ধে প্রতিশোধপরায়ণ নই।’ নরেন্দ্র মোদি বলেন, আজাদ কাশ্মীরের পর পাকিস্তান ভারত অধিকৃত কাশ্মীরও দখলের চক্রান্ত করছে। কিন্তু ভারতীয় সেনারা তাদের চক্রান্ত বানচাল করে দিয়েছে। আজ আমরা এটি ভারতের অংশ বলে গর্বিত বোধ করতে পারি।

তিনি বলেন, ওরা কাশ্মীরের কিছু অংশ দখল করতে পেরেছিল। সম্পূর্ণ অবৈধভাবেই এ দখল নেয় তারা। এ বিষয়টি এখনও আমাদের দংশন করে চলেছে। এদিন যুদ্ধের পোশাক পরে নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলওসি) মোতায়েন সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলির শুভেচ্ছা ও মিষ্টি বিনিময় করেন মোদি। সেখানে সেনাঘাঁটিতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় কাটান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সাহসী জওয়ানদের নিজের পরিবার হিসাবে বর্ণনা করেন মোদি।

তিনি বলেন, অন্যদের মতো তিনিও নিজের পরিবারের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপনের জন্যই সেখানে গেছেন। টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে মোদি বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীর সেনাদের সঙ্গে #দীপাবলী উদযাপন করলাম। এই সাহসী সেনাদের সঙ্গে আলাপ করতে পারা সবসময়ই আনন্দের বিষয়।’

নিজের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে মোদি-কে একটি বাক্স থেকে সেনাদের মিষ্টি খাওয়াতে দেখা যায়। একদল সেনাসদস্যের সঙ্গে মজা করতেও দেখা যায় তাকে। এক সেনা জওয়ান সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে বলেন, আমরা কখনও ভাবিনি যে, প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসবেন এবং আমাদের দীপাবলিকে স্মরণীয় করে রাখবেন। এটা খুবই চমকপ্রদ বিষয় ছিল। তার সঙ্গে দেখা করে আমরা গর্বিত বোধ করছি।

আই.এ/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন