ভারতের কারণে কাশ্মীরের ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি

প্রকাশিত: ১১:০১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০১৯

জম্মু-কাশ্মীর থেকে গত ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা বিলোপের পরে সেখানে প্রশাসনিক নানা বিধি-নিষেধের জেরে এ পর্যন্ত ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। রোববার ( ২৭ অক্টোরব) গণমাধ্যমে প্রকাশ, কাশ্মীর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি শেখ আশিক আহমদ সংবাদ সংস্থাকে ওই তথ্য জানিয়েছেন।

শেখ আশিক বলেন, ‘কাশ্মীরে ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। প্রায় সবক্ষেত্রেই প্রভাব পড়েছে। তিন মাস হতে চললেও, এখনও উপত্যকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। সেজন্য ব্যবসায়ীরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘আজকের দিনে যেকোনও ব্যবসার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট পরিসেবা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। এতে শুধুমাত্র ব্যবসায়ীদেরই ক্ষতি হবে না, বরং কাশ্মীরের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়বে। দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে এর ফল ভুগতে হবে সরকারকেই।’

সম্প্রতি পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও, ব্যবসায় মন্দা চলছে বলেই আমরা জানতে পেরেছি।’ আগামী ৩১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকারশাসিত অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। তার আগে এই পরিস্থিতি মোদি সরকারের দুশ্চিন্তার কারণ হতে হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন।

কাশ্মীর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি শেখ আশিকের মতে, ইউরোপ, আমেরিকা-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাশ্মীরি হস্তশিল্পের রফতানি হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখায়, প্রভূত ক্ষতি হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘হস্তশিল্পের ক্ষেত্রে জুলাই-আগস্ট মাস নাগাদই বিদেশ থেকে অর্ডার এসে যায়। বড়দিন এবং নতুন বছরের আগে তা সরবরাহ করতে হয়। কিন্তু অর্ডার হাতে পেলে তবে তো সরবরাহের কথা ভাবা যাবে! যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থাই নেই, সেখানে অর্ডার আসবে কোথা থেকে? এর ফলে প্রায় ৫০ হাজার হস্তশিল্পী এবং তাঁতশিল্পী কাজ হারিয়েছেন।’

শুধুমাত্র কাজ হারানোই নয়, ইন্টারনেট পরিসেবা বন্ধ থাকায় পণ্য ও পরিসেবা কর জিএসটিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার এই পরিস্থিতির দায় এড়াতে পারে না বলেও শেখ আশিক মন্তব্য করেন।

জম্মু-কাশ্মীর থেকে গত ৫ আগস্ট থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর থেকে সেখানে বিভিন্ন বিধিনিষেধ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বেহাল হওয়ায় মানুষজন ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার বার বার সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে দাবি করলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন কথা বলছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

আই.এ/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন