বাকৃবি শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ

প্রকাশিত: ৫:২৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০১৯

তানিউল করিম জীম, বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শহীদ জামাল হোসেন হল ছাত্রলীগের সভাপতিকে সালাম না দেওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে মারধর ও নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনার পর পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সেটি উল্লেখ করে এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রাণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নীলিমা আফরোজ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, শহীদ জামাল হোসেন হল ছাত্রলীগের সভাপতি দীপক হালদারকে সালাম না দেওয়ায় গত ৫ আগষ্ট গভীর রাত পর্যন্ত হলের কক্ষে আটকে রাখা হয় পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী মো. মাকসুদুল হক ইমুকে।

এসময় হল সভাপতির নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি আবদুল্লাহ্ হিশ শাফি, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শাওন এবং পাঠাগার সম্পাদক মো. রাহাত হোসেন রাত ১টার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে হলের পূর্ব ফার্স্ট ব্লকের ০৫ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। পরে তারা হল সভাপতিকে সালাম না দেওয়ার কারণ জানতে চান এবং তাকে মারধরের মাধ্যমে সারারাত নির্যাতন করেন।

নির্যাতনের ঘটনার পরের দিন ( ৬ আগস্ট ২০১৯) তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ছাইফুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম, ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম জাকির হোসেন এবং সহকারী প্রক্টর চয়ন গোস্বামীকে সদস্য করে কমিটি গঠন করা হয়। তবে কত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে, বিজ্ঞপ্তিতে সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া ছিল না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হক বলেন, সম্প্রতি তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে একটি রির্পোট জমা দিয়েছে। আমরা ওই রির্পোটের উপর ভিত্তি করে দ্রুতই ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি।

আই.এ/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন