
মুঠোফোনের সংযোগ চালু হলেও ভারতের কাশ্মীর উপত্যকায় রক্তক্ষয় থামছে না। এক দিনেই সেখানে ৫টি প্রাণ ঝরে গেল। গতকাল বুধবার তিন স্বাধীনতাকামী হত্যার কথা জানিয়েছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। অন্যদিকে সন্দেহভাজনদের গুলিতে নিহত হয়েছেন দুই বেসামরিক নাগরিক। খবর রয়টার্স।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, আগস্টে বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর অন্যতম একটি রক্তাক্ত দিনের সাক্ষী হলো কাশ্মীর।
পুলিশ সূত্রে রয়টার্স জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সৈন্যরা দক্ষিণ কাশ্মীরের একটি গ্রামে অভিযান চালালে বন্দুকযুদ্ধে তিন স্বাধীনতাকামী নিহত হয়।
কাশ্মীর পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই সংঘর্ষে তিন স্বাধীনতাকামী নিহত হয়েছে। তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদসহ নানা সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না পাওয়ায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় পুলিশ বা সেনা কেউ হতাহত হয়নি’।
সূত্র জানায়, উপত্যকায় সহিংসতা রোধে নিরাপত্তা বাহিনী বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাস্থলের কাছে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। স্বাধীনতাকামীরা নিহত হওয়ার পর ভারতবিরোধী কাশ্মীরি অধিবাসীদের অনেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে জড়ো হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্রোহীদের তল্লাশি করতে বেসামরিক লোকজনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
প্রসঙ্গ, ৫ আগস্ট ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে বিভক্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই সময় বিক্ষোভের আশঙ্কায় কাশ্মীরে ফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয় সরকার। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় সরকার বিপুল পরিমাণে বাড়তি সেনা মোতায়েন করে। রাজনৈতিক নেতাদের বন্দী করা হয় এবং পর্যটকদের কাশ্মীর ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। এবং ব্যাপকভাবে কাশ্মীরিদের ওপর নানাবিধ নির্যাতন করা হয় ।
কাশ্মীরে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার কিছু তুলে নেওয়া হয়েছে ধীরে ধীরে। এরই অংশ হিসেবে ৭২ দিন পর গত সোমবার প্রিপেইড মুঠোফোনের সংযোগ চালু করা হয়। গত বৃহস্পতিবার কাশ্মীরে যাওয়ার ক্ষেত্রে পর্যটকদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে ইন্টারনেট সংযোগ এখনো বন্ধ।
মুহসিন/

