
ডেস্ক রিপোর্ট: নোয়াখালীতে গণধর্ষনের ঘটনা বেশিদিন হয়নি। এরই মধ্যে সাভারের আশুলিয়ায় আর এক গণধর্ষণের ঘটনায় বিচার না পেয়ে নির্যাতিতার আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার সকালে জামগড়া রূপায়ণ গেট এলাকায় রবিউলের ভাড়া বাড়ি থেকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত কিশোরী পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কালাইপাড়া গ্রামের আবু হানিফের মেয়ে। আবু হানিফ জামগড় এলাকায় মুদি দোকান করতেন। মাহফুজা বাসা থেকেই গার্মেন্টে আসা যাওয়া করতেন।
মাহফুজা নামে ১৬ বছরের এই কিশোরী যে গার্মেন্টে কাজ করতেন সেই প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজারসহ কয়েকজন মিলে গত শনিবার রাতের আঁধারে তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে।
নিহতের বোন আফরুজা জানান, তার বোন জামগড়া এলাকার ইয়াগী পোশাক কারখানায় চাকরি করত। রহিম নামের একজন সুপারভাইজার তাকে বেশ কিছু দিন ধরে বিরক্ত করছিল।
শনিবার রাতে বাসায় ফেরার সময় ওই কারখানার সুপারভাইজার রহিম, লাইন চিপ রিপন, স্বপন ও হৃদয় তার বোনকে জোড় করে তুলে নিয়ে রূপায়ণ মাঠে রাতভর নির্যাতন করে ভোররাতে ছেড়ে দেয়। ঘটনার পর তার বোন আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ ঘটনার সত্যতাও খুঁজে পায়।
ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হলে এলাকার নাজমুল নামের এক লম্পটের নেতৃত্বে ঘটনার সাজানো বিচার করে ধর্ষকদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু জরিমানার টাকা ধর্ষিতার পরিবারকে না দিয়ে নিজেরা ভাগবাটোয়ারা করে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নিহতের বোন আফরুজা বলেন, সালিশের নামে ওরা রহিমদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে আমাদের এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে ভয়ভীতি দেখায় ও হুমকি দেয়। সব মিলিয়ে আমরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ি। এসব নিয়ে আমার বোন মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে ছিলেন। লিখিত অভিযোগ পেয়ে থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবুল কালাম আজাদ মাহফুজার বাসায়ও যান রোববার। থানা থেকে তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন মাহফুজা।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলাটি প্রক্রিয়াধীন ছিল।