শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন: মোস্তফা জব্বার

প্রকাশিত: ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৯

ফয়সাল আরেফিন, জবি: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “প্রগতিশীলতা এবং শেখ হাসিনা একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। স্বাধীনতার পরবর্তীতে ৭১’ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বৈষম্যহীন সমাজ ও দেশ গঠনেরঘোষণা দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার সময় আমাদের দেশ অর্থনীতি, শিক্ষা, প্রযুক্তিগত, শিল্পায়ন থেকে শুরু করে সকলকিছুতেই পিছিয়ে ছিল। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্ব সেই অবস্থা থেকে বাংলাদেশকে আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার(৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে (২য় তলা, ভিআইপি লাউঞ্জে) অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম-এর উদ্যোগে ‘প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতৃত্বে শেখ হাসিনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন ।

এসময় মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করলে, অনেকেই ব্যাঙ্গাত্মক কথাবার্তা বলেছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দেশ অকল্পনীয় গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সংবিধানের চার মূলনীতির মূলমন্ত্র হচ্ছে প্রগতিশীলতা। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে বৈষম্যহীন সমাজ বলতে কেবল

অর্থনৈতিক বিষয় বুঝায় না। শিক্ষা থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রসহ সকল পর্যায়ে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। সকল পর্যায়ের বৈষম্য দূর করার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার যে সকল কাজ করছে তা এখন দৃশ্যমান। দেশ হতে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছি, আর প্রগতিশীল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছি। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অনুকরণীয়। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ডিজিটাল প্রযুক্তিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, উন্নয়ন বলতে অনেকই কেবল অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিক বিবেচনা করে। শুধুমাত্র অর্থনৈতিকভাবে ধনী হলেই দেশের উন্নয়ন দীর্ঘস্থায়ী হবে না। ডলারের ভিত্তিতে সিরিয়া, লিবিয়া, ইরাক, ইরানের মতো বহু উন্নত রাষ্ট্র পৃথিবীতে ছিল।

কিন্তু সংস্কৃতি প্রগতিশীল ও বিজ্ঞান মনস্ক না হওয়ায় কালের বিবর্তনে আজ তাদের অস্তিত্ব সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, “আমাদের দেশ উন্নয়নশীল দেশে উপনীত হয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে, অর্থনৈতিক অগ্রগতিও দ্রæত এগিয়ে যাচ্ছে। এর সাথে আমাদের ধনী-দরিদ্র্যের বৈষম্য হ্রাস করতে হবে। সম্পদের সুষম বণ্টন হলে ধনী-দরিদ্র্যের মাঝে সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাবে এবং উন্নয়ন টেকসই হবে। তাই সরকারের পাশাপাশি সকলকে উদার মনমানসিকতা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হতে হবে।

হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, মুসলমানসহ সকলে মিলেমিশে যেভাবে বাঙালিত্ব ও স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলাম, ঠিক তেমনি দেশের উন্নয়নের ভাগ সকলের মাঝে সুষমভাবে বন্টন করতে হবে। দেশে বাঙালি প্রগতিশীল ভাবধারার লোক যেমন রয়েছে, তেমনি প্রগতিশীলতা ও স্বাধীনতা বিরোধী লোকও রয়েছে। প্রগতিশীলতা ও উন্নয়নের বিরোধী ভাবধারার লোকদের কার্যকলাপ থেকে সজাগ থাকতে হবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের সাম্য ভিত্তিক, বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে আমাদের আরো তৎপর হতে হবে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও কলামিস্ট মেজর জেনারেল (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ঢাকা এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য প্রদান করেন।

আলোচক হিসেবে বিশিষ্ট কলামিস্ট ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী, দৈনিক কালেরকণ্ঠ পত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট আলী হাবিব এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, ওয়ারি থানা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এফ. এম. শরিফুল ইসলাম শরিফ বক্তব্য প্রদান করেন।

এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল এবং তরুণ কলামিস্টবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন। সেমিনারে ‘প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতৃত্বে শেখ হাসিনা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট কলামিস্ট ও বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কবি, সাংবাদিক ও কলামিস্ট ফোরামের সদস্য-সচিব-২ সৌরভ জাহাঙ্গীর।

এসময় প্রগতিশীল কলামিস্ট এবং তরুণ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন