
বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) রোহিঙ্গাদের জন্য শিবিরে দা-কুড়াল বানিয়ে দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
রোহিঙ্গাদের আন্দোলন প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, কিন্তু তাদের হাতে হাতে সেলফোন। এগুলো তারা কীভাবে পেল। শুনেছি বিভিন্ন এনজিও এগুলো সাপ্লাই দিয়েছে। সেই সঙ্গে বিলবোর্ড, দা, কুড়াল বানিয়ে দিচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিওদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, যে সব এনজিও সহযোগিতার নামে রোহিঙ্গাদের নানাভাবে উসকানিমূলক ইন্ধন দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রোহিঙ্গাদের আমাদের দেশে থাকতে হলে, আমাদের নিয়ম মেনে চলতে হবে। এর ব্যত্যয় মেনে নেওয়া হবে না।
এ কে মোমেন আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের ডেকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সর্বশেষ পরিস্থিতি জানানো হয়েছে। কিন্তু সেখানে মিয়ানমার উপস্থিত হয়নি। এটি তাদের নিজস্ব বিষয়। তবে ২২ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বন্ধের জন্য মিয়ানমার আমাদের দোষারোপ করছে। এটি দুঃখজনক।
মন্ত্রী বলেন, প্রত্যাবাসন ব্যর্থ হওয়ার জন্য তারাই দায়ী, কারণ রোহিঙ্গাদের কাছে তারা বিশ্বাস অর্জন করতে পারেনি। রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সেখানে নিয়ে, তাদের জন্য কী ব্যবস্থা করা হয়েছে, তা দেখাতে বলেছি। কিন্তু মিয়ানমার সেটা করছে না। এমনকি জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাকেও তারা সেখানে ঢুকতে দিচ্ছে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য সরকার প্রচুর অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে। বরাদ্দের এই টাকা যথাযথভাবে কাজে লাগছে কিনা এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, মোগলগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য সরকার ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
মোগলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিরন মিয়ার সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন সচিব নিহারজিৎ পালের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, আ.লীগ নেতা সুজাত আলী রফিক, জগদীশ চন্দ্র দাস প্রমুখ।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস

