
জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন, ছিনতাই ও র্যাগিংয়ের অপরাধে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত ৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় পৃথক পাঁচ ঘটনায় তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে ২১ আগস্ট অফিস আদেশ জারি করে প্রশাসন। অন্য আরেকটি ঘটনায় সাময়িক বহিষ্কার আদেশ জারি করা হয় গত ২৬ আগস্ট।
আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এসব অফিস আদেশের কথা জানানো হয়।
অফিস আদেশ থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় এক ছাত্রী ও অন্য এলাকায় দুই ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার অপরাধে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী রিজওয়ান রাশেদ সোয়ানকে একবছরের জন্য বহিষ্কার ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের মাহিদ হাসানকে ছয়মাসের জন্য বহিষ্কার ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গণিত বিভাগের ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে একই বিভাগের তোজাম্মেল হোসেনের ছাত্রত্ব বাতিল করে চিরতরে বহিষ্কার করা হয়। চারুকলা বিভাগের এক ছাত্রকে নিপীড়নের অভিযোগে ওই বিভাগের আশিকুর রহমান ও সৌরভ চক্রবর্তীকে একবছরের জন্য এবং জাকিয়া সুলতানা দিনা ও ফাহমিদা খানম অদিতিকে ছয়মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
মনির হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে মারধর ও এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের রায়হান পাটোয়ারি, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের আলরাজী, দর্শন বিভাগের মোকাররম হোসেন শিবলু, সিএসই বিভাগের শাহ মোস্তাক আহমেদ সৈকতকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার ও ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সঞ্জয় ঘোষকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুল এলাকায় এক ছাত্র ও এক বহিরাগতকে মারধরের অভিযোগে লোকপ্রশাসন বিভাগের রাফিউ শিকদার, মোস্তাফিজুর রহমান, সোহেল রানা, বাংলা বিভাগের শুভাশীষ ঘোষ, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের নেজামুদ্দিন নিলয়কে একবছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। একইসঙ্গে জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হক সোহাগকে সতর্ক করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে মধ্যরাতে র্যাগিং করার অভিযোগে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী শিহাবকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এই সময় শিহাব বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধরনের শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস

