রোহিঙ্গাদের শর্ত মেনে মিয়ানমারকে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০১৯

রাখাইনে ফেরার ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের শর্ত মেনে নিয়ে মিয়ানমারকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, নিজেদের নাগরিকদের আস্থা ফেরানোর দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে।

রাখাইনের অধিবাসী হিসাবে ১০৩৭টি রোহিঙ্গা পরিবারের যে তালিকা মিয়ানমার পাঠিয়েছিল, সেটি ধরে প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য গত কয়েকদিন ধরে সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন ইউএনএইচসিআর ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরা। তারা স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে যেতে আগ্রহী কিনা তা জানতে চাওয়া হচ্ছে তাদের কাছে। সেই প্রক্রিয়া এখনও চলছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “মিয়ানমার এখনও তাদের (রোহিঙ্গা) মনে আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারেনি। কিন্তু এটা তাদেরই দায়িত্ব। তারা (রোহিঙ্গা) মিয়ানমারকে বিশ্বাস করে না। এ বিষয়টিকে অবশ্যই মিয়ানমারের আমলে নিতে হবে।”

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের দ্বিতীয় চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর শুক্রবারও তিনি বলেছেন, “আমরা এখনও আশাবাদী।” গতবছর নভেম্বর প্রথম দফার চেষ্টা ভেস্তে যাওয়ার পর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য ২২ অগাস্ট দিন ঠিক হয়েছিল। কিন্তু নাগরিকত্বসহ চারটি শর্তের কথা তুলে বৃহস্পতিবার নির্ধারিত দিনে একজন রোহিঙ্গাও স্বেচ্ছায় মিয়ানমারের রাখাইনে ফিরে যেতে রাজি হয়নি।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শুক্রবার ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিবিদদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ কমিটির এক আলোচনা সভার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য বাংলাদেশ সব সময়ই প্রস্তত। “আমরা মিয়ানমারকে আবারও মনে করিয়ে দেব যে তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে। সুতরাং সেজন্য যা যা দরকার তা তাদের করতে হবে। আমরা বিশ্বকে বলব যে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টাটা আমরা করছি।”

আবদুল মোমেন বলেন, এখন কক্সবাজারের বদলে রাখাইনের দিকে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মনোযোগ দেওয়া উচিৎ। কক্সবাজারে যে রোহিঙ্গারা আছে বাংলাদেশ তাদের দিকটা দেখছে। রোহিঙ্গাদের দাবি, প্রত্যাবাসনের জন্য আগে তাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে। জমি-জমা ও ভিটেমাটির দখল ফেরত দিতে হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। রাখাইনে তাদের সঙ্গে যা হয়েছে, সেজন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মিয়ানমারকে এ বিষয়গুলো দেখতে হবে। তারা যদি আমলে না নেয়, তাহলে আতঙ্ক থেকেই রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে চাইবে না।

আই.এ/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন