চামড়া নিয়ে খেলছে কারা খুঁজছে সরকার: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৬:১৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০১৯
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আ.লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এবার কোরবানির পশুর চামড়ার দরপতনের খেলায় মেতে উঠা চক্রকে খুঁজে বের করতে সরকার সচেষ্ট। অপরাধী বা সিন্ডিকেট যে বা যারা হোক তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে।

আজ শনিবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতার ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

হাছান মাহমুদ বলেন, চামড়াশিল্প ধ্বংস নয় বরং চামড়াশিল্পের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে সরকার। অতীতে চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হতো ৪০০ মিলিয়ন ডলারের, এখন তা ২ বিলিয়নে পৌঁছেছে।

সরকার পাটশিল্প রক্ষায় কাজ করছে অন্যদিকে বিএনপি এটা নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে যাচ্ছে এমন কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা বলে আ.লীগ সরকার নাকি পাটশিল্প ধ্বংস করেছে। অথচ তারা ক্ষমতায় এসেই আদমজী জুট মিলস বন্ধ করে দেয়। ১৯৯১ সালে তারা ক্ষমতায় এসে অনেক পাটকল বন্ধ করে দেয়। আ.লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে পাটকল নতুনভাবে চালুর পাশাপাশি শ্রমিকদের মালিকানা দেওয়ার কাজ করে।

তিনি আরও বলেন, পাটের পর বিএনপি এখন চামড়া নিয়ে মিথ্যাচার করছে। অথচ এর আগে চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হতো ৪০০ মিলিয়ন ডলার। এখন রপ্তানি হয় ২ বিলিয়ন ডলার। এখন মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে, তাই তারা কোরবানি দিচ্ছে অনেক। আগে মানুষ কোরবানি দিয়েছে ৫০ লাখ এখন তা কোটিতে পৌঁছেছে। সে তুলনায় ট্যানারি বৃদ্ধি পায়নি। এজন্য হয়তো কোথাও সমস্যা হচ্ছে। তবে যারাই চামড়ার দরপতনের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। সব ব্যক্তি বা সিন্ডিকেটকে বিচারের আওতায় আনা হবে।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরীর পরিচালনা ও সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহানের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- আ.লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, ঢাবির সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কনক কান্তি বড়ুয়া, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সাংবাদিক নেতা কুদ্দুস আফ্রাদ, জাকারিয়া কাজল, ওমর ফারুক, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, বরুণ ভৌমিক, রফিকুল ইসলাম রতন, খায়রুজ্জামান কামাল প্রমুখ।

জিআরএস/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন