
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রায় ৩৬ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় সাড়ে চার হাজার সনাতন ধর্মালম্বী। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মালম্বীদের অনেক কষ্ট করে পূজা-উৎসব পালন করতে হয় বলে অভিযোগ আছে তাদের।
এ কারণে রাবির বর্তমান উপ-উপাচার্য ড. আনন্দ কুমার সাহার পৃষ্টপোষকতায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস এর পাশে অবস্থিত রাবির কেন্দ্রীয় মন্দির আবারও নতুন করে ২৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দে সংস্কার করা হচ্ছে। আগামী দুই মাসের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবুল কালাম আজাদ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালে তৎকালীন উপাচার্য এম সাইদুর রহমান সনাতন ধর্মালম্বীদের পূজা-উৎসবের জন্য বর্তমান মন্দিরের জায়গাটি নির্বাচন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এবার প্রথমবারের মতো ভবন আকারে মন্দির তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এর আগে টিন শেডের ছোট একটি ঘরে সনাতন ধর্মালম্বীরা ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দফতর সূত্রে জানা গেছে, মন্দির সংস্কারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ১২০০ বর্গমিটার বিশিষ্ট এলাকায় দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছে। এর একটিতে অফিস কক্ষ এবং অপর কক্ষে পূজা-উৎসব পালন করা হবে।
এছাড়াও সেখানে একটি বড় বারান্দা করা হয়েছে, যেখানে পূজা পালনকারীরা যখন ইচ্ছা এসে পূজা করতে পারবে। এদিকে মন্দিরের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য মন্দিরের অভ্যন্তরীণ রাস্তা সংস্কারসহ মন্দির সংলগ্ন পুকুরের পাড় বাঁধাই করা হয়েছে।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে মন্দিরটি সংস্কার করা হয়নি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে মন্দির সংস্কারের জন্য আবেদন করার পর সেখান থেকে পাওয়া কিছু অর্থ এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেওয়া কিছু অর্থ নিয়ে এ মন্দির সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়। মন্দির সংস্কারের কাজ প্রায় শেষের দিকে। আর এ কারণে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান প্রশাসনের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আইএ/পাবলিক ভয়েস

