
ঢাবি প্রতিনিধি: রাজধানীর সাত কলেজ সংকটের স্থায়ী সমাধান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অচলাবস্থা থেকে মুক্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
আজ মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ উপাচার্যের কার্যালয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান দেশের বাইরে থাকায় ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. সামাদের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
স্মারকলিপিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট সাত কলেজ সংকটের তড়িৎ ও স্থায়ী সমাধান করার দাবি জানায় সংগঠনটি। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে ক্লাস, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বলা হয়।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশ করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ চলমান রাখার জন্য আমাদের আজকের প্রোগ্রাম। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাধারন শিক্ষার্থীর অধিকার আদায়ে সবসময় কাজ করেছে। বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা সাত কলেজকে ঢাবির অন্তর্ভুক্ত করার কারণ হলো বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্ডারে অনেক কলেজ থাকে শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্যে। আমাদের দেশেও তা করার চেষ্টা করছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, সাত কলেজ নিয়ে দেশনেত্রী চিন্তা করেন। আমরা শিক্ষামন্ত্রীর, প্রো-ভিসির সাথে সাত কলেজ নিয়ে কথা বলেছি। সাত কলেজ কোন বিষয় নয়। আমাদের দাবি শিক্ষার মানোন্নয়ন। আমাদের শিক্ষার মানোন্নয়ন হচ্ছে না। যেহেতু এগুলো আলোচনার মাধ্যমে সামাধান করতে হবে। তাই কালকে থেকে আমরা ক্লাস করব।
সমাবেশে ডাকসুর জিএস এবং ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘যা কিছু সত্য, সুন্দর, তার সাথেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। যেকোনো নৈতিক এবং যৌক্তিক দাবির সঙ্গে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তাকে সমর্থন জানায়, একাত্মতা প্রকাশ করে।’
রাব্বানী বলেন, আমরা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন আগামী আগস্টের প্রথম সপ্তাহে আলোচনা করে এর সমাধান করা হবে। ছাত্রলীগ ডাকসুর সাথে বসে এর একটা সমাধান করবে। আপনারা আস্থা রাখুন। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করব কিন্তু ক্লাস পরীক্ষা চলমান রাখতে চাই।
রাব্বানী আরও বলেন, যেখানে আলোচনা করে সমাধান করা যায় সেখানে আন্দোলনের প্রয়োজন নেই। যদি আগস্টের ১ম সপ্তাহে এর সমাধান না হয় তাহলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আন্দোলন করবে।
ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের নিয়ে একটি দল ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করতে চাচ্ছে। অধিকার আদায়ের নামে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মৌলিক যে অধিকার, ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সেই অধিকারকে বানচাল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
সাদ্দাম বলেন, আমরা ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকার জিম্মি করে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেন না। কয়েক মিনিটের মধ্যে আমরা আপনাদের দাদাগিরি আমরা বন্ধ করে দিতে পারি। ছাত্রলীগের সেই সক্ষমতা রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্দেশ্যে সাদ্দাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, আমাদেরকে সরকার দেখালে হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই সমাধান করতে হবে।
এসময় সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

