
‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী বা সাম্প্রদায়িক মনোভাব সম্পন্ন কাউকে দলের সদস্য করা হবে না। এক্ষেত্রে যুদ্ধাপরাধী ও তাদের সন্তানদের বেলায়ও আওয়ামী লীগের অবস্থান একই। আওয়ামী লীগের এ বিষয়ে একটা নীতিমালা আছে, দলের চেতনা আছে। এই চেতনার সঙ্গে কোনো আপস নাই’।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযান নিয়ে নিজের দেয়া বক্তব্যের সমালোচনার জবাবে এসব কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুলে কাদের। তিনি বলেন, ধোঁয়াশার কোনো কারণ নেই, এখানে আমাদের দলের অবস্থান সব সময়ই একই রকম। নতুন কোনো অবস্থান এখানে নেই।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গত ১ জুলাই থেকে সারাদেশে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। ‘আওয়ামী লীগের এবারের সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত পরিবারের সংশ্লিষ্টতা থাকলেও নেওয়া হবে। স্বাধীনতার ৪৮ বছরে এসে রাজনৈতিক বিষয়ে কে কোন পরিবারের সন্তান এটা বিবেচ্য নয়। কে কোন মনোভাব ও চেতনা লালন করেন বা ব্যক্তির রাজনৈতিক ভূমিকা কী সেটাই বিবেচ্য’ ওবয়াদুল কাদেরের এমন বক্তব্যে সমালোচনা শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এদিকে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া এ বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে তাকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। অন্যথায় গণআদালতে তার বিচার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন।
জামাল উদ্দীনের অভিযোগ, ‘তার এ ধরনের ঘৃণ্য বক্তব্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সুস্পষ্ট স্খলন। এমনকি এ বক্তব্যে তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন’।
/এসএস

