আঈনুদ্দিন আল আজাদ রহ. এর ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী

প্রকাশিত: ২:১১ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৮, ২০১৯

গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে আল্লাহ আল্লাহ জিকির করতে করতে প্রেমাস্পদের সাথে আলিংগন করেন এই মহা মনীষী।


আজ ১৮ জুন (মঙ্গলবার) ইসলামি সংস্কৃতির কিংবদন্তী ও বিপ্লবী মহাপুরুষ আঈনুদ্দীন আল আজাদ রহ. এর ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১০ সালের এই দিনে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় শাহাদাত বরণ করেন ইসলামী সংস্কৃতির এ কিংবদন্তী মহাপুরুষ।

২০১০ সালের ১৮ জুন শুক্রবার একটি মাহফিল সেরে পরবর্তী দিনের খুলনায় ইসলামি সংগীতানুষ্টানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় প্রতিমধ্যে নাটোরের লালপুরে বিপরিতপগামী ট্রাকের ধাক্কায় দুমড়ে মুছড়ে পড়ে তার গাড়ি। ঘটনাস্থলে ড্রাইভার মৃত্যু বরণ করেন। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে আল্লাহ আল্লাহ জিকির করতে করতে প্রেমাস্পদের সাথে আলিংগন করেন এই মহা মনীষী।

১৯৭৭ সালের ০১ মার্চ ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ থানার হাজরা তলা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। পিতা জনাব মুহাম্মদ শমসের আলী ও মাতা নবীরুন নেসা। ৮ ভাই, ৪ বোনের মধ্যে তিনি হলেন পঞ্চম। বৈবাহিক জীবনে তিনি দুই সন্তানের পিতা। বড় মেয়ে তুহফা আজাদ রুহি ও ছেলে আসাদুল্লাহ গালিব। ইন্তেকালের সময় যাদের বয়স ছিল যথাক্রমে ৮ ও ৫ বছর।

তিনি প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন গ্রামের এক বিদ্যালয়ে। পরে ইসলামি শিক্ষার প্রতি প্রবল আগ্রহে ১৯৯১ সালে ঝিনাইদহ উত্তর কাষ্টসাগর দাখিল মাদরাসায় ভর্তি হয়ে একি বছর দাখিল। ১৯৯৩ সালে ছারছিনা দারুস সুন্নাহ আলিয়া মাদরাসা থেকে আলিম।

১৯৯৫ সালে ঝিনাইদহ সরকারী কে সি কলেজ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে বাংলা সাহিত্যে অনার্স। ১৯৯৬ সালে মাগুরা সিদ্দিকিয়া সিনিয়র মাদরাসা থেকে ফাজিল পাস করেন। পরে সরকারী মাদরাসা-ই আলিয়া, ঢাকা থেকে কামিল সম্পন্ন করেন।

রাজনৈতিক জীবনে তিনি ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন। সর্বশেষ ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

/এসএস

মন্তব্য করুন