
পাবলিক ভয়েস: সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়ে প্রথম দিনেই প্রতিবাদমুখর বক্তব্য রেখে সংসদে উত্তাপ ছড়িয়েছেন বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
বক্তব্যের শুরুতেই রুমিন ফারাহানা বলেন, সংসদে আজ আমার প্রথম দিন। যেকোনো রাজনীতিবিদের মতোই সংসদে আসা, সংসদে দেশের কথা, মানুষের কথা বলা আমার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমি এমন একটি সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছি যে সংসদটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। আমি খুশি হবো যদি এই সংসদের মেয়াদ আর একদিনও না বাড়ে।
তার বক্তব্যের প্রতিবাদে শুরু থেকেই হইচই করতে থাকেন সরকার দলীয় সাংসদরা। তার পুরো বক্তব্য জুড়ে সরকার দলীয় সাংসদরা হইচই করতে থাকেন। স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীও বার কয়েক সাংসদদের নিবৃত করার চেষ্টা করেন।
- রুমিন ফারজহানা তার বক্তব্যে বলেন, যদি আপনারা টিআইবির রিপোর্ট দেখেন। যদি আপনারা বিদেশি গণমাধ্যম দেখেন। যদি আপনারা বিদেশি পর্যবেক্ষকদের দেখেন। যদি আপনারা নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট দেখেন, আপনারা দেখবেন- এই সংসদটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। সুতরাং আমি খুশি হবো যদি এই সংসদের মেয়াদ আর একদিনও না বাড়ে।
স্পিকারের দেয়া ২মিনিট সময় শেষ হওয়ার পর মাইক বন্ধ হয়ে গেলেও রুমিন ফারহানা বক্তব্য দিতে থাকেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সংসদে নেই। তাকে পরিকল্পিতভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলায় ১৬ মাসের বেশি সময় ধরে আটক রাখা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার মামলার মেরিট, তার শারীরিক অবস্থা, তার সামাজিক অবস্থান, সব কিছুর বিবেচনায় তাৎক্ষণিক জামিন পাওয়ার যোগ্য। সরকারের হুমকিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন না। বিএনপির নেতাদের নামে শত শত মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।
এদিকে তার বক্তব্য শেষ হলে রেলমন্ত্রী পয়েন্ট অব অর্ডারে বলেন, বিএনপির নারী সাংসদ তাঁর বক্তব্যে এই সংসদ ও সংসদ সদস্য ও ১৬ কোটি মানুষের প্রতি কটাক্ষ করেছেন। এই সংসদকে তিনি অনির্বাচিত এবং অবৈধ বলেছেন। অথচ তিনি নিজেই সাংসদ হিসেবে শপথ নিয়ে এর বৈধতা দিয়েছেন। তিনি রুমিনের বক্তব্যের ওই অংশটুকু এক্সপাঞ্জ করার প্রস্তাব করেন।
পরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, কার্য প্রণালি বিধির ৩০৭ ধারা অনুযায়ী ওই শব্দগুলো কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হবে।
/এসএস

