এপ্রিলের তীব্র দাবদাহ ; গণরুম শিক্ষার্থীদের ফ্যান উপহার ডাকসু জিএস রাব্বানী’র

প্রকাশিত: ১১:২৬ অপরাহ্ণ, মে ২, ২০১৯

ঢাবি প্রতিনিধি :

অসহ্য গরমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাষ্টারদা সূর্যসেন হলের গণরুমের শিক্ষার্থীদের জন্য ৮ টি ফ্যানের ব্যবস্থা করেছেন ডাকসু জিএস ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার গোলাম রাব্বানীর অনুসারী হল ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ শরিফুল আলম শপুর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে ফ্যানগুলো হস্তান্তর করা হয়।

হল সংসদের এক সদস্য পাবলিক ভয়েসকে জানান, ৩৪৪, ৪০১ ও ৬২৬ নম্বর রুমে ফ্যানগুলো লাগানো হয়েছে। তিনটি রুমই গণরুম।

এপ্রিলের তীব্র দাবদাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের গণরুমের শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। প্রচন্ড গরমে মাষ্টারদা সূর্যসেন হলের গণরুমের শিক্ষার্থীরা রাব্বানীর সাথে যোগাযোগ করলে রাব্বানী ফ্যানের ব্যবস্থা করে দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) জিএস ও ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, শিক্ষার্থীদের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব আমাদের। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের যে কোন সমস্যায় পাশে থাকবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সদস্য মোঃ তানভীর হাসান সৈকত বলেন, “গরমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো ভোগান্তি পোহাতে না হয়ে সেজন্য কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ থেকে হল সংসদের নেতাদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া পবিত্র রমজান মাসে শিক্ষার্থীদের যাতে অসুবিধা না হয় তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরকে বলেছি যাতে লোডশেডিং না হয়।

বিশেষ সূত্র মতে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, কবি জসিমউদদীন হল, স্যার এ এফ রহমান হলে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড গরমে একক কক্ষে গড়ে বিশজন করে শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে বসবাস করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে সিলিং ফ্যান ব্যবহার করার অনুমতি নেই। শুধুমাত্র গণরুমের শিক্ষার্থীদের জন্য সিলিং ফ্যান ব্যবহারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী। হলের ভিত্তি দূর্বল এমন কারণ দেখিয়ে হলে সিলিং ফ্যান ব্যবহার করার অনুমতি দিচ্ছেনা হল প্রশাসন।

মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল সংসদের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হোসেন শান্ত জানান, ডাকসুর জিএস ও ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী হলের প্রতিটি গণরুমের জন্য ফ্যানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। হলের ১০১, ১০২, ১০৩, ১০৪, ২২৮ নম্বর রুমে ডাকসুর জিএস এর পক্ষ থেকে সিলিং ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শান্ত আরো জানান, “হলের ভিত্তিপ্রস্তর দূর্বল হওয়ায় এবং বেশ কয়েকবছর আগে হলের এক আবাসিক ছাত্র সিলিং ফ্যানের সাথে দড়ি বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার কারণে হলে সিলিং ফ্যান ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে না হল প্রশাসন। এখন আমরা যদি এ ব্যাপারে হল প্রশাসনকে আবেদনের প্রেক্ষিতে সিলিং ফ্যান ব্যবহারের ব্যবস্থা করি এবং তখন যদি কোনো দূর্ঘটনা ঘটে তার দায় কে নেবে!”

এদিকে তীব্র গরমে বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রীষ্মেকালীন ফল, জুস বিক্রি বেড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। মল চত্ত্বর, টিএসসি, কার্জনের গেটে কোমল পানীয় বিক্রেতাদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কাম্পাসের একজন ফল বিক্রেতা জানান, মাঝেমধ্যেই প্রক্টরিয়াল টিম তাদেরকে সরিয়ে দেন।

এ ব্যাপারে ডাকসুর সদস্য রকিবুল ঐতিহ্য বলেন, “গরমে শিক্ষার্থীরা যেখানে ডাব, কোমল পানীয় কিংবা ফলের দোকানের প্রয়োজন অনুভব করবে সেখানে আমরা ডাকসুর পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কিন্তু ক্যাম্পাসে যেগুলো অবৈধ দোকান ডাকসুর পক্ষ থেকে আমরা সেসব অবৈধ দোকান সরিয়ে দিচ্ছি দিচ্ছি। গতকালও আমরা অনেক দোকান তুলে দিয়েছি।”

আসন্ন পবিত্র রমজানে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস শীতল থাকুক এমনটাই প্রত্যাশা সাধারণ শিক্ষার্থীদের।

মন্তব্য করুন