দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে শপথ নিলেন বিএনপির ৪ এমপি

প্রকাশিত: ৬:০৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৯, ২০১৯

দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নিয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত চার সংসদ সদস্য। তারা হলেন- আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২), মো. হারুনুর রশীদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), উকিল আবদুস সাত্তার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২) ও মো. মোশাররফ হোসেন (বগুড়া-৪ আসন)। আজ সোমবার বিকেল ৫টার দিকে তারা সংসদ ভবনে যান। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন তাদের শপথ পড়ান।

বিজয়ী প্রার্থীদের শপথ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি অসুস্থ, বাসায় আছি। এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনশ আসনের মধ্যে মাত্র আটটি আসনে জয় পায় বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তাদের মধ্যে বিএনপি থেকে ছয় জন এবং গণফোরাম থেকে নির্বাচিত হন দু’জন। তবে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোটের দিন রাতেই ফলাফল বর্জনের ঘোষণা দেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। পরে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত হয়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বিজয়ী আট প্রার্থীর কেউ শপথ নেবেন না।

এই সিদ্ধান্ত অমান্য করে গত ৭ মার্চ শপথ নেন মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে নির্বাচিত গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও ২ এপ্রিল শপথ নেন সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত গণফোরামের আরেক প্রার্থী মোকাব্বির খান। সবশেষ গত ২৫ এপ্রিল দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপির প্রার্থী জাহিদুর রহমান।

সংবিধান অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের শপথ নেওয়ার শেষ দিন সোমবার। সংবিধানে বলা আছে, সংসদের প্রথম বৈঠকের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচিত সাংসদদের শপথ গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে সদস্যপদ বাতিল করে আসন শূন্য ঘোষণা করা হবে। একাদশ সংসদের প্রথম বৈঠক বসে গত ৩০ জানুয়ারি। এই হিসাবে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচিতদের শপথ নিতে হবে।

গতকাল রোববার রাতে তিন সাংসদ উকিল আবদুস সাত্তার, হারুনুর রশীদ ও আমিনুল ইসলামকে নিয়ে গুলশানের কার্যালয়ে বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

দলীয় সূত্র জানায়, বৈঠকে দলের চেয়ারপারসনের কারাবন্দী অবস্থায় ওই তিনজনকে শপথ না নিতে অনুরোধ করা হয়। একপর্যায়ে তিন সাংসদ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে স্কাইপে পৃথকভাবে একান্তে কথা বলেন।

বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্তেই আছি।’

আর হারুনুর রশীদ বলেন, ‘বৈঠকে কিছুই হয়নি। আজ সোমবার পর্যন্ত কী হয় দেখা যাক।’

জিআরএস/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন