হাইয়ার পরীক্ষা কমিটির পদত্যাগ দাবি করেছেন মাকনুন বিন ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ

প্রকাশিত: ৯:৫১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০১৯

আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ-এর কার্যক্রমে বাইরের হস্তক্ষেপের আশঙ্কা করে অভিমত ব্যক্ত করেছেন কওমী শিক্ষাসনদ স্বীকৃতি সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন বিন ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ

তিনি বলেন, কওমী মাদরাসার সর্বোচ্চ বোর্ড হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়ায় পরিচালনায় অবিবেচক কর্মকাণ্ডের কারণে বাইরের হস্তক্ষেপের আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে। এমন কোনো পাঁয়তারাও হচ্ছে বলে তিনি ধারণা করছেন।

আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়ার বার বার প্রশ্নফাঁস নিয়ে পরীক্ষা কমিটির পদত্যাগ দাবি করে মাওলানা মাকনুন বলেন, আমরা পুরো পরীক্ষা কমিটিরই পদত্যাগ দাবি করছি। নাজেমে ইমতেহান পরীক্ষা পরিচালনার নৈতিক যোগত্য হারিয়েছেন।

২৫ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অতীতে কওমী মাদরাসা এমন দুর্ঘটনার শিকার হয়নি। স্বীকৃতির সিঁড়ি পেয়ে একশ্রেণির অসৎ লোকের অপতৎপরতা ও দায়িত্বশীলদের অবহেলার কারণেই গোটা কওমি অঙ্গনকে একটি বিপজ্জনক অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সম্মিলিত কওমি মাদরাসা সরকারি বোর্ড ‘আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’-এর অধীনে চলমান দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফের ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ২৫ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষ বাতিলও করেছে। এর আগে বেফাক মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস পরিচালিত ফরিদাবাদসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি বড় মাদ্রাসায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এ কারণ কেন্দ্রীয় কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ‘আল হাইআতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ চলমান দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) পরীক্ষা বাতিল হওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো গত ২৩ এপ্রিল থেকে পুনরায় পরীক্ষা শুরু হয়েছিল।

মন্তব্য করুন