

লেখক, উদ্যোক্তা ও সমাজকর্মী মুশতাক আহমেদকে নির্যাতন করে বিনা চিকিৎসায় কারাগারে আটকে রেখে নির্মম মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে দাবি করে এ ঘটনার কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)।
স্বাধীনতার ৫০ তম বছরে এসে স্বৈরতন্ত্রের এই বিভৎস মহড়া জনতার মনে পরাধীনতার ভয় জাগিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আজ এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মুশতাক আহমেদকে গত বছর ৫ মে থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) ধারায় বিচারপূর্ব আটকে রাখা হয়েছিলো। বারংবার তার জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং আটকাধীন অবস্থায় তার প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে তা নিয়ে উদ্বেগ আছে ।
তিনি বলেন, মুশতাক আহমেদ কোন খুনী, ব্যাংক লোপাটকারী বা দুর্নীতিবাজ ছিলেন না। তার কথিত অপরাধ ছিলো, সরকারের দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সচেতনামূলক লেখালেখি ও কার্টুন আঁকা। এমন নিরিহ ধরণের প্রতিবাদ রুখতে সরকার যে বর্বর আচরণ মুশতাকের সাথে করেছে তার তুলনা কেবল ৭১ পূর্ব সময়ের সাথেই করা যায়।
পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন জনগণের সুরক্ষার আশ্রয় হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সরকার এই আইনকে নিজেদের অপকর্ম আড়াল করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এই আইন এখন জননিরাপত্তার বদলে দুর্নীতি-দুঃশাসন টিকিয়ে রাখার অসভ্য অস্ত্রে পরিণত হয়েছে।
পীর সাহেব চরমোনাই দাবী জানিয়ে বলেন, এই আইন অবিলম্বে সংশোধন করে একে জনবান্ধন করতে হবে এবং এর অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে। তিনি তার পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর একটি দ্রুত, স্বচ্ছ, স্বাধীন এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আহবান জানান।
প্রসঙ্গত : রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার রাষ্ট্রচিন্তার লেখক মুশতাক আহমেদ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাতে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে মারা গেছেন। গত বছরের ৬ মে রমনা থানায় র্যাবের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় লালমাটিয়ার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের জেলার দেব দুলাল কর্মকার জানান, সন্ধ্যা ৭ টা ১০ মিনিটের দিকে মুসতাক আহমেদ কারাগারে মাথা ঘুরে পড়ে যান। তখন তাকে কারারক্ষীরা উদ্ধার করেন। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
মুসতাক আহমেদ লালমাটিয়ায় স্ত্রী ও বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন। তিনি বাবা-মায়ের একমাত্র পুত্রসন্তান। মুস্তাকের স্ত্রী লিপা আক্তার মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছেন সম্প্রতি। বাণিজ্যিকভাবে দেশে কুমির চাষের অন্যতম প্রবক্তাও ছিলেন মুশতাক। শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে মুশতাক আহমেদের মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
গত বছরের ৪ মে থেকে ৬ মে ধারাবাহিকভাবে রাজধানীর কাকরাইল, লালমাটিয়া, বাড্ডা ও বনানী এলাকা থেকে র্যাবের হাতে আটক চারজন হলেন- আহমেদ কবির কিশোর, মুশতাক আহমেদ, দিদারুল ইসলাম ও মিনহাজ মান্নান। পরে রমনা থানায় র্যাব বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় এই চারজনসহ মোট ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাকিরা হলেন, প্রবাসী সাংবাদিক তাসনিম খলিল ও সাহেদ আলম, সায়ের জুলকারনাইন, আশিক ইমরান, ফিলিপ শুমাখার, স্বপন ওয়াহিদ, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীন।
র্যাবের দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, কার্টুনিস্ট কিশোর তার ‘আমি কিশোর’ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনামূলক কার্টুন-পোস্টার পোস্ট করতেন।
মুশতাক তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কিশোরের সেসব পোস্টের কয়েকটি শেয়ার করেছিলেন। অভিযুক্ত ১১ জন দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জাতির জনক, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, মহামারি করোনাভাইরাস সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়। গ্রেফতার হওয়া কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, মুসতাক আহমেদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আই অ্যাম বাংলাদেশি নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী পোস্ট, মহামারি করোনা, সরকারদলীয় বিভিন্ন নেতার কার্টুন দিয়ে গুজব ছড়িয়ে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির’ অভিযোগ আনা হয়।
গত সেপ্টেম্বরে এই মামলায় গ্রেফতার মিনহাজ মান্নান ও দিদারুল ভূঁইয়া জামিনে মুক্তি পান। কার্টুনিস্ট কিশোর ও লেখক মুসতাকের জামিন হয়নি। ছয় বার মুসতাকের জামিন আবেদন নাকচ হয়। কারাগারে থাকা কার্টুনিষ্ট কিশোরও অসুস্থ্য বলে জানিয়েছেন তার বড় ভাই আহসান কবীর। গত ১১ জানুয়ারি রমনা থানা পুলিশ কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, লেখক মুসতাক আহমেদ ও রাষ্ট্রচিন্তার কর্মী দিদারুল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
উল্লেখ্য : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার থাকা মোশতাকের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে অব্যাহত বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে সরকার এখন আইনটির অপপ্রয়োগ বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে।
এই আইন নিয়ে গতকাল ছাত্র-সংগঠনগুলো বেলা ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও দোয়েল চত্বর হয়ে, শিক্ষা ভবনের সামনে পুলিশের ব্যারিকেড সরিয়ে এগিয়ে যায়।
এছাড়াও একই দিনে বিরোধীদল বিএনপি’র ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল একটা মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে গেছে। ছাত্রদলের একটি সমাবেশ পুলিশ রবিবার লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ সংগঠনটিও বাংলাদেশের বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ডেকেছিল।
পুলিশের লাঠিপেঠার মুখে বিক্ষোভকারীরা এক পর্যায়ে প্রেসক্লাবের ভেতরে আশ্রয় নেন। অভিযোগ করা হয়েছে, পুলিশ পরে প্রেসক্লাবের ভেতরে ঢুকে লাঠিচার্জ অব্যাহত রাখে।
বিক্ষোভকারীরাও পুলিশের উপর হামলা চালায় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গনমাধ্যমকে বলেছেন, এই আইনে কোনো অপরাধের অভিযোগ এলে পুলিশের তদন্তের আগে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না বা তার বিরুদ্ধে মামলা নেয়া যাবে না-এমন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার থাকা লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর পর এই আইনটি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
এর বিরুদ্ধে অব্যাহত প্রতিবাদের অংশ হিসাবে সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধার মুখে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছিল বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।
জানা যায় – আওয়ামী লীগ সরকার নানা বিতর্কের মধ্যেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। শুরুতেই গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার কর্মীরা যেমন আপত্তি করেছিলেন, পরে এই আইনের অপপ্রয়োগ নিয়েও তাদের উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে।
তাদের উদ্বেগের মূল বিষয় হচ্ছে, ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা, গুজব রটনা বা সরকারের সমালোচনা করা-এমন সব অভিযোগে মামলা হলেই আটক করে রাখা হয় এবং আইনের অপপ্রয়োগ করা হয়।
এই আইনে নয় মাস ধরে আটক থাকা লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর পর অভিযোগ ওঠেছে যে, ছয় বার আবেদন করেও তার জামিন মেলেনি।
এমন প্রেক্ষাপটে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তদন্তের আগে মামলা নেয়া বা কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না, এমন ব্যবস্থা তারা নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, “আমরা বলেছি যে, সরাসরি মামলা নেয়া হবে না। কোন অভিযোগ এলে পুলিশ প্রথমে তদন্ত করে দেখবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে তারপরে মামলা নেয়া হবে।”
কিন্তু আইনটি প্রণয়নের পর থেকে কোন অভিযোগ এলেই পুলিশ মামলা নিয়ে সাথে সাথেই অভিযুক্তকে আটক করছে- এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইনমন্ত্রী বলেছেন, “আগে যাতে আটক না করে এবং তদন্তের জন্য যেন অপেক্ষা করে- সেই জায়গায় আসার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।”
ডিজিটাল আইনের যে তথ্যগুলো জানা থাকা দরকার :
• ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জন শৃঙ্খলা ক্ষুণ্ণ করলে বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণা সৃষ্টি করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তা ব্লক বা অপসারণের জন্য টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে। এক্ষেত্রে পুলিশ পরোয়ানা বা অনুমোদন ছাড়াই তল্লাশি, জব্দ এবং গ্রেপ্তার করতে পারবে।
• আইনে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট যুক্ত করা হয়েছে। ফলে কোনো সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার অতি গোপনীয় বা গোপনীয় তথ্য-উপাত্ত ধারণ, প্রেরণ বা সংরক্ষণ করা হয়, বা প্রকাশ করে বা কাউকে করতে সহায়তা করে ওই আইন ভঙ্গ করলে এই আইনে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সাজা হতে পারে, ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
• কোনো সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার অতি গোপনীয় বা গোপনীয় তথ্য-উপাত্ত যদি কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ধারণ, প্রেরণ বা সংরক্ষণ করা হয়, তাহলে তা গুপ্তচরবৃত্তি বলে গণ্য হবে এবং এজন্য ৫ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে।
• আইন অনুযায়ী ডিজিটাল মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা জাতির পিতার নামে প্রোপাগান্ডা বা প্রচারণা চালালে বা মদদ দিলে অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।
• ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, ভীতি প্রদর্শক তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ, মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো, ঘৃণা প্রকাশ, অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ, প্রকাশ বা ব্যবহার করলে জেল জরিমানার বিধান রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে তিন থেকে সাত সাত বছরের কারাদণ্ড, জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। দ্বিতীয়বার এরকম অপরাধ করলে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
• ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণা করলে অনধিক ৫ বছরের কারাদণ্ড, ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড হতে পারে।
• কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের বিষয়েও বিধান রয়েছে এই আইনে। সেখানে ১৫ ধারায় বলা হয়েছে, কম্পিউটার, কম্পিউটার প্রোগ্রাম. কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ডিভাইস, ডিজিটাল সিস্টেম বা ডিজিটাল নেটওয়ার্কে প্রবেশাধিকার ব্যাহত করে, এমন ডিজিটাল সন্ত্রাসী কাজের জন্য অপরাধী হবেন এবং এজন্য অনধিক ১৪ বছর কারাদণ্ড অথবা এনধিক এক কোটি অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
• ছবি বিকৃতি বা অসৎ উদ্দেশ্যে ইচ্ছেকৃতভাবে বা অজ্ঞাতসারে কারো ব্যক্তিগত ছবি তোলা, প্রকাশ করা বা বিকৃত করা বা ধারণ করার মতো অপরাধ করলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। ইন্টারনেটে পর্নগ্রাফি ও শিশু পর্নগ্রাফির অপরাধে সাত বছর কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
• কোন ব্যাংক, বীমা বা আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান থেকে কোন ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া অনলাইন লেনদেন করলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
• বাংলাদেশ বা বিশ্বের যেকোনো বসে বাংলাদেশের কোন নাগরিক যদি এই আইন লঙ্ঘন করেন, তাহলেই তার বিরুদ্ধে এই আইনে বিচার করা যাবে।
• ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিচার হবে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে। অভিযোগ গঠনের ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। তবে এর মধ্যে করা সম্ভব না হলে সর্বোচ্চ ৯০ কার্যদিবস পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।
এছাড়াও ২০১৮ সালে পার্লামেন্টে পাশ হওয়া ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮’-এ আরও অনেকগুলো ধারা রয়েছে। যা নিয়ে বিতর্ক ও অস্বস্থি রয়েছে সবার মধ্যে।