
বর্তমান সরকার ও তাদের আন্দোলনের ফসলরা ১২ বছর ধরে তন্নতন্ন করে খুঁজে তারেক রহমানের অবৈধ সম্পদের কোনো সন্ধান পায়নি। অথচ ঢালাওভাবে তার বিরুদ্ধে কত যে মিথ্যা গল্প সাজিয়ে অপপ্রচার করেছে সেটির ইয়ত্তা নেই। তারেক রহমানের কোন অবৈধ অর্থ নেই, অপপ্রচার চালাচ্ছে সরকার। এখন দুদককে দিয়ে আরেকটি কুৎসা রটনার নতুন অধ্যায় শুরু করল বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ সরকারের নির্দেশে হয়েছে।
আরও বলেন, বাংলাদেশের আদালত ব্যবহার করে সরকার তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের নামে যুক্তরাজ্যের একটি ব্যাংকে থাকা তিনটি হিসাব জব্দের নির্দেশের আদেশ করিয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত একটি আদেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে।
‘মিথ্যা সাজানো মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে অন্যায়ভাবে। এখন বিএনপিকে চাপে ফেলতে এই সরকার দুদককে দিয়ে একটি কাল্পনিক ও মিথ্যা আবেদনের মাধ্যমে আদালতকে দিয়ে আদেশ করিয়েছে। এটি একটি আষাঢ়ে গল্প।’
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি যেভাবে সুসংগঠিত হচ্ছে, সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে সরকার ভীত হয়ে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাল্পনিক মিথ্যা অভিযোগ সামনে এনেছে। কারণ এখন সরকার যা বলে নিম্ন আদালত তাই করে। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
তিনি বলেন, যদি সরকারের নির্দেশ না মেনে কোনো বিচারক ন্যায় বিচার করেন তাহলে তাদেরকে দেশ ছাড়তে হয়, যার উৎকৃষ্ট প্রমাণ বিচারক মোতাহার হোসেন ও প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা।
‘আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, তারেক রহমানের কোনো অবৈধ অর্থ নেই। সেখানে তার যা অর্থ আছে তা ইংল্যান্ড রেভিনিউতে ট্যাক্সপেইড অর্থ। সে দেশে আইনের শাসন রয়েছে, সুতরাং সেখানে আনডিসক্লোজড মানি ট্র্যানজেকশন হওয়ার সুযোগ নেই।’
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস

