
২০১১ সালে আপন চাচাকে খুন করে পালিয়ে যান ওমান, শুরুতে সাধারণ একজন শ্রমিক হিসেবে কাজ করলেও ভিসার ব্যবসা করে রাতারাতি বনেজান কোটিপতি, এরপর সালালার সানাইয়া নামক শহরে ছোট্ট পরিসরে ফটোশপের একটা দোকান দিয়ে ব্যবসার আড়ালে করতে থাকেন অপকর্ম। ভিসার ব্যবসা করে বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা আত্নসাৎ করে গা ঢাকা দিয়েছে এই সাঈদ।
মাগুরা জেলার ওমান প্রবাসী জামির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বিশ টি ভিসা দেওয়ার কথা বকে সাঈদ টাকা নিয়ে দীর্ঘ এক বছর ঘুরিয়ে এখন টাকা না দিয়ে পলাতক আছে। এভাবে কুমিল্লার সোহাগ রহমান নামে একজন অভিযোগ করে বলেন “আমি সাঈদ এর মাধ্যমে আমার এলাকার ৫জন লোক ওমান এনেছি, ভিসা বিক্রির আগে চল্লিশ হাজার টাকা বেতনে সুপার মলে চাকরি দেওয়ার কথা থাকলেও ওমান এনে তাদেরকে কোনো কাজই দেয়নি” এভাবে ফরিদপুর থেকে তার বউয়ের মামাতো ভাই ইয়াসিন কে ওমান এনে কয়েকদিন একটা মোটর গ্রেজে কাজ করিয়ে বেতন না দিয়ে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেশে পাঠিয়ে দেয়।
তার বউয়ের আপন বড়ভাইয়ের সাথেও ভিসা জালিয়াতি করেছে এমন অভিযোগ করেছে তার বউয়ের আপন বড়ভাই। আবু সাঈদ ওরফে আহসান হাফিজ সাইদ এর নিজ এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় ২০১১ সালে পারিবারিক কলহের জের ধরে আপন চাচাকে খুন করে এই সাইদ, এরপর থেকে এখনো গ্রামে আসেনি, এমনকি কিছুদিন আগে তার মা মারা গেলেও তার জানাজায় আসেনি এই সাঈদ, ফরিদপুর কোর্টে খোঁজ নিলে বেরিয়ে আসে সাইদ এর সব অপকর্ম, তার নামে বর্তমানে একটি খুনের মামলা সহ চুরি ও ডাকাতির মামলা রয়েছে ফরিদপুরে।
ওমান থেকে তার নামে বিভিন্ন অভিযোগ এর সত্বতা যাচাই করার জন্য সাঈদ এর সাথে যোগাযোগ করলে সে প্রথমে সব শিকার করলেও পরে সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন চ্যানেলে তার বড়ভাই কাজ করে, সে যেকোনো সময় চাকরি খেয়ে ফেলতে পারে এমন হুমকিও দিচ্ছে।
এমতাবস্থায় তার আপন চাচা কাশেম মাতুব্বর এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ইতিমধ্যেই মামলা মিমাংসার জন্য সাইদ নয় লাখ টাকা দিয়েছে, আরো কিছু টাকা বাকি আছে, সেই টাকা গুলো দিলে বাদী পক্ষ মামলা তুলে নিবে বলে শিকার করেন তার আপন চাচা।
বর্তমানে ওমানের সালালহ থেমে একশত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তামরিদ নামক এলাকার একটি মসজিদে ইমামতি করছে বলে জানা গেছে, ভিসার ব্যবসা, পতিতার দালালী ও মানুষ খুন করে এখন মসজিদের ইমাম হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিচ্ছে এই আবু সাইদ ওরফে আহসান হাফিজ সাইদ।
আইএ/পাবলিক ভয়েস

