
আ.লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার সংস্কৃতি পাকিস্তান ও বিএনপি-জামায়াতের। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিরা আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মেরেছে। বাড়িঘর পুড়ে ছারখার করেছে। ২০১৪-১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। পেট্রোল বোমা মেরে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে তারা।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাস ভবন গণভবনে আ.লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভার শুরুতে সূচনা বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদের অধিকাংশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি ফেনীর সোনাগাজীতে নুসরাত নামের এক মাদরাসাছাত্রী অধ্যক্ষের দ্বারা নিগৃহীত হলো। প্রতিবাদ করায় মেয়েটিকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা হলো। এর চেয়ে ঘৃণ্য ও বিভৎস ঘটনা আর হতে পারে না। আমি চেষ্টা করেছি, মেয়েটির চিকিৎসায় সর্বোচ্চ সহায়তা দেয়ার। সিঙ্গাপুর নেয়ার কথাও বলেছিলাম। সেই প্রস্তুতিও চলছিল। কিন্তু তার আগেই সে মারা গেল।
তিনি বলেন, এই যে মেয়েটিকে বিনা কারণে এতো নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো! বোরকা পরে মুখ ঢেকে, হাত-পায়ে মোজা পরে গিয়ে তাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা হলো। এটা দুঃখজনক। জীবন্ত একজন মানুষকে পুড়িয়ে মারা এর চেয়ে জঘন্য ঘটনা আর হতে পারে না। এর বিচার অবশ্যই হবে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কেউ রক্ষা পাবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, দুর্ভাগ্য এটাই যে এ অগ্নিসন্ত্রাস কিন্তু বিএনপিই সৃষ্টি করেছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচন ঠেকানোর নামে তারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে তারা। আ.লীগ সরকার উৎখাতের নামে ২০১৫ সালেও গায়ে পেট্রোল ঢেলে বিভৎসভাবে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। এ ধরনের ঘটনা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরাও ঘটিয়েছিল। মানুষের ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তারপরও কেউ জ্বলন্ত অবস্থায় ঘর থেকে বের হয়ে এলে গুলি করে মেরেছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির আমলেও দেখা গেল তারা একই ধরনের সন্ত্রাস ও মানুষ হত্যা করেছে। তারা ২০ দল বানিয়েছে, যার মধ্যে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে। এ বিএনপি-জামায়াত মিলেই এভাবে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসসহ কিছু সমস্যা দেশে ছিল। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর এদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেখান থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে আ.লীগ সরকার মানুষের জীবনে স্বস্তি ও শান্তি ফিরিয়ে এনেছি। সরকার সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ কঠোর হস্তে দমন করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য মাঝে মধ্যে কিছু সমস্যা ঘটে। কিছু সমাজিক সমস্যা আছে, সেগুলোও সরকার সমাধানের চেষ্টা করছে।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস

