ফেসবুকে হা হা রিঅ্যাক্ট দেয়া নিয়ে মারামারি করে গ্রেফতার হওয়া চবির শিক্ষার্থীরা মুক্তি পেল

প্রকাশিত: ৯:৪২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০১৯

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন বিজয় ও সিএফসির মধ্যে ফেসবুকে বান্ধবীর ছবিতে হা হা রিঅ্যাক্ট দেয়া নিয়ে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ উভয় পক্ষের ৬ জনকে গ্রেফতার করে। ওই ৬ জনের মামলা প্রত্যাহার ও প্রক্টরের পদত্যাগসহ ৪ দফা দাবিতে উভয়পক্ষ এরপর এক হয়ে রোববার সকাল থেকে চবিতে অবরোধের ডাক দেয় তারা। দুটি গ্রুপই চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সিটি মেয়র মরহুম এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

শেষ পর্যন্ত তাদের দাবির কাছে হার মেনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা প্রত্যাহার করে এবং গ্রেফতারকৃতদের মুক্ত করে নিয়ে আসে। ফুলের মালায় তাদের বরণ করে নেয় ছাত্রলীগ নেতারা।

ক্যাম্পাস সূত্র জানা যায়, ‘বান্ধবীর’ ফেসবুকের ছবিতে হাসির ‘রিয়েক্ট’ দেয়া নিয়ে গত ৩১ মার্চ সংঘর্ষে জড়ায় চবি ছাত্রলীগের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক গ্রুপ ‘বিজয়’ ও ‘সিএফসি’ কর্মীরা। সংঘর্ষে আহত হন তিনজন। সংঘর্ষের পরদিন পুলিশ চবির বিভিন্ন হলে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গুলি, দুটি বন্দুক এবং ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। এর পরদিন ২ এপ্রিল ক্যাম্পাসে আবারো সংঘর্ষে জড়ায় উভয় পক্ষ। তখন পুলিশ গিয়ে ছয়জনকে গ্রেফতার করে। তারাই আজ মুক্তি পেলো।

এদের মুক্ত করার দাবি নিয়ে গত রবিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে ছাত্রলীগের এই দুই গ্রুপ। তারা ফ্যাকাল্টিতে তালা ঝুলিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠানে বাধা প্রদান, শাটল ট্রেনের লোকো মাস্টারকে তুলে নিয়ে যাওয়া, ট্রেনের হোস পাইপ কেটে দেয়া, ক্যাম্পাসে পরিবহন পুলের ৩০টি বাসের চাকা কেটে ও সুপার গ্লু দিয়ে আটকে দেয়াসহ পুরো ক্যাম্পাসকে অবরুদ্ধ করে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অবরোধকারীদের প্রতি অবরাধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানালেও তাতে তারা সাড়া দেয়নি তারা। পরে পুলিশ এসে তাদের সরানোর চেষ্টা করলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে লাঠিপেটা শুরু করলে ছাত্রলীগ কর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকেন। তখন পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও জলকামান ব্যবহার করে। এতে কয়েকজন আহত হন। আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইটে কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয় বলে জানায়।

শেষ পর্যন্ত আন্দোলনের মুখে তাদের মুক্ত করে নিয়ে আসে ছাত্রলীগ।

মন্তব্য করুন